শিরোনাম
বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে ওষুধের বাজারে নৈরাজ্য

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে ওষুধের বাজারে নৈরাজ্য

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের সামনের ফার্মেসিতে রক্তের ক্যাপসুল আইরন পলিম্যালটুস কমপ্লিট ১০টির দাম ৫০ টাকা। কিন্তু একই কোম্পানির ক্যাপসুল হাজারি গলিতে বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা। গ্যাস্ট্রিকের ট্যাবলেট ১৪টির এক পাতা চমেক হাসপাতালের সামনে বিক্রি হচ্ছে ৯২ টাকা, একই কোম্পানির ট্যাবলেট হাজারি গলিতে বিক্রি হচ্ছে ৮৭ টাকা।               

এভাবে ওষুধের পাতায় দাম লেখা না থাকায় ফার্মেসিগুলো ক্রেতাদের কাছ থেকে ইচ্ছামতো টাকা আদায় করছে। ক্রেতারাও বাধ্য হয়ে বর্ধিত মূল্যে ওষুধ কিনছেন। ওষুধের দাম নিয়ে চলছে নৈরাজ্য। নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে ফার্মেসিগুলো। জানা যায়, ওষুধের দামে নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে মাঝে মাঝে জেলা প্রশাসন, ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ অভিযান পরিচালনা করে। কিন্তু অভিযানের সময় কখনো দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যায়, কখনো বন্ধ করে সাধারণ মানুষের মতো ঘোরাঘুরি করে। গতকাল দুপুরে নগরের চমেক হাসপাতালের সামনের ফার্মেসিগুলোতে অভিযান পরিচালনা করতে যায় ভোক্তা অধিকার। কিন্তু তখন অনেকেই দোকান বন্ধ করে রাস্তায় বেরিয়ে গেছেন। হাজারি গলি থেকে নিয়মিত ওষুধ ক্রেতা মুহাম্মদ সেলিম উল্লাহ বলেন, একই কোম্পানির একই ওষুধের দাম চমেক হাসপাতাল এলাকায় এক রকম এবং হাজারি গলি এলাকায় আরেক রকম। সিরাপের প্যাকেটে দাম লেখা থাকে। কিন্তু ট্যাবলেট-ক্যাপসুলের পাতায় দাম লেখা না থাকায় তারা ইচ্ছামতো দাম নিচ্ছে। এটা একটা নৈরাজ্য। দীর্ঘদিন ধরেই এটি চলে আসছে। প্রতি মাসে অন্তত ৮ থেকে ১০ হাজার টাকার ওষুধ কিনতে হয়। তাই কমন কিছু ওষুধের দাম জানা আছে। এ ব্যাপারে সরকারি দায়িত্বশীল সংস্থাকে সক্রিয় হওয়া উচিত। ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক এস এম সুলতানুল আরেফীন বলেন, ওষুধ নিয়ে নৈরাজ্য ঠেকাতে আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে থাকি। তবে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে সব পক্ষকেই একযোগে কাজ করতে হবে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, প্রশাসন ও ক্রেতা সবাইকে বিষয়টির বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে। কেবল অভিযান বা মনিটরিংয়ে কাজ হবে না। কারণ একটি অভিযানের স্থায়িত্ব ৩০ থেকে ৬০ মিনিট। কিন্তু ক্রেতা যখন ওষুধ কিনে তখন যদি কোনো অনিয়ম চোখে পড়ে, তখন প্রশাসনকে অবহিত করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া যায়। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক ফয়েজ উল্যাহ বলেন, ওষুধের বাজারের নৈরাজ্যগুলো আমাদের নজরে আছে। তাই সেখানে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হয়। ওষুধের নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি বিক্রি করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর