বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

রেশমের সুদিন ফিরবে কবে

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রেশমের সুদিন ফিরবে কবে

রেশমের সুদিন ফেরাতে চলছে সরকারি নানা উদ্যোগ। আর্থিক বরাদ্দও আছে। কিন্তু নেই জনবল। রাষ্ট্রায়ত্ত এই প্রতিষ্ঠানটিতে ৫৮১টি পদের বিপরীতে আছেন মাত্র ১৫২ জন। শূন্য আছে ৪২৯ কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদ। ফলে কর্মরতদের এখন একাধিক দায়িত্বে কাজ করতে হচ্ছে। এমন অবস্থায় কোনো দায়িত্বই ঠিকমতো পালন করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। রাজশাহী অঞ্চলে তুত চাষের মাধ্যমে রেশমের বিকাশ লাভ করে। এখানেই খাঁটি রেশম সুতা দিয়ে কাপড় তৈরি শুরু হয়। স্বাধীনতার পর ১৯৭৪ সালে রেশম শিল্পের আরও বিকাশ ও সম্প্রসারণের জন্য কাজ শুরু হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ড। এর প্রধান কার্যালয় রাজশাহীতে। রেশম বোর্ডের পাশাপাশি এখানে রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট এবং সরকারি রেশম কারখানাও আছে। অবশ্য বিএনপি সরকারের আমলে রেশম কারখানাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে রেশম কারখানাটি আবার চালু করা হয়েছে। কারখানাটি এখন চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। জনবল সংকটের কারণে একই অবস্থা দাঁড়িয়েছে রেশম বোর্ডেরও। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এখানে শুধু প্রথম শ্রেণির পদই আছে ৮৪টি। কিন্তু কর্মরত আছেন ২৫ জন। প্রথম শ্রেণির ৫৯টি পদ খালি থাকায় প্রশাসনিক নানা কাজেই স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। এখানে দ্বিতীয় শ্রেণির অনুমোদিত পদের সংখ্যা ৭২টি। কর্মরত আছেন মাত্র ১৮ জন। পদ শূন্য আছে ৫৪টি। রেশম বোর্ডে তৃতীয় শ্রেণির মোট পদ ৩৬৭টি। বর্তমানে কর্মরত আছেন মাত্র ৯০ জন। শূন্য আছে ২৭৭টি পদ। চতুর্থ শ্রেণির ৫৮ পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন মাত্র ১৯ জন। চতুর্থ শ্রেণির শূন্য পদ ৩৯টি।

রেশম বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, ২০১৩ সালের পর থেকে এখানে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ হয়নি। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী অবসরে চলে গেছেন। ফলে দিন দিন শূন্য পদের সংখ্যা বাড়ছেই। এক কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত দায়িত্বে অন্য দায়িত্বও পালন করতে হচ্ছে। এতে কোনো কাজই ঠিকমতো এগোচ্ছে না।

বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালক (অর্থ ও পরিকল্পনা) এম এ মান্নান বলেন, বোর্ডে জনবল সংকট এখন প্রকট হয়েছে। দীর্ঘদিন নিয়োগ না হওয়ায় এ অবস্থা তৈরি হয়েছে। সংকটের কথা সরকারকে জানানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে জনবল নিয়োগের নির্দেশনা এলেই সংকটের সমাধান হতে পারে। যত দিন তা না হচ্ছে, তত দিন এভাবে সংকটের মধ্যেই সবাইকে কাজ করতে হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর