শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
বাজার সিন্ডিকেট

বাণিজ্যমন্ত্রীকে দায়ী করলেন এমপিরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাজার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতে না পরার ব্যর্থতার জন্য বাণিজ্যমন্ত্রীর তীব্র সমালোচনায় গতকাল উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সংসদ। সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি, গণফোরাম, স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা বাজার নিয়ন্ত্রণ না করতে পারার জন্য বাণিজ্যমন্ত্রীকে দায়ী করেন। তারা বলেন, বাণিজ্যমন্ত্রী নিজেই ব্যবসায়ী। ব্যবসা ভালো বোঝেন। তাই বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ। এর জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, আমি ব্যবসা করার অনেক আগে থেকেই রাজনীতি করি। এ সময় বাজার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি সংসদকে আশ্বস্ত করেন। জাতীয় সংসদের অধিবেশনে গতকালের বৈঠকে বাণিজ্য সংগঠন (সংশোধন) বিল-২০২৩ এর ওপর আনীত বাছাই প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা বাজার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করেন। জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, আমাকে অনেক সময় ব্যবসায়ী, সিন্ডিকেটের হোতা এসব বলা হয়। আমি যে ব্যবস্যা করি তা দেশের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়, সম্পূর্ণ বিদেশে এক্সপোর্ট করি, বিদেশের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তবে বৈশ্বিকভাবে এ দ্রব্যমূল্য বাড়ার পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে অনেক মনোপলি ব্যবসাদার বা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দাম বাড়ায় এটা সত্য। তবে সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গণফোরামের সদস্য মোকাব্বির খান বলেন, গুদামে পর্যাপ্ত মজুদ থাকার পরও আলুর দাম অনেকটা বেড়ে গেছে। কারণ একটাই- সিন্ডিকেট। জাতীয় পার্টির সদস্য ফখরুল ইমাম বলেন, সিন্ডিকেট, দাম বাড়ার বিষয়গুলো এ বিলের আলোচনায় চলে আসে। যদি কোনো কারণে সিন্ডিকেট গঠিত হয়, দাম বাড়লে কীভাবে কমানো যাবে এরকম কোনো ধারা আমি দেখলাম না। 

জাতীয় পার্টির পীর ফজলুর রহমান বলেন, বাণিজ্যমন্ত্রী কেন সিন্ডিকেট ধরতে পারছেন না, তা আমরা জানি না। এক বছর আগে চিনির দাম ছিল ৮৮-৯০ টাকা, এখন তা ১৩০-১৩৫ টাকা, ডিম ছিল ৪০-৪২ টাকা, এখন তা ৪৮-৫২ টাকা, রসুনের দাম বেড়েছে ২২৯ শতাংশ। গরুর মাংস, বয়লার মুরগি, রুই মাছ সবকিছুর দাম বেড়েছে। পরে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, সাপ্লাই ঠিক না থাকলে দাম বাড়ে। আমরা ডিমের দাম বেঁধে দিয়েছি, যদি সেটা তারা না মানে তবে অবিলম্বে ডিম আমদানি করা হবে। তিনি বলেন, কখনো কখনো হঠাৎ কোনো দ্রব্যের ওপর সিন্ডিকেট করে বা দাম বাড়ানোর সুযোগ নেয় ব্যবসায়ীরা। যেমন ডিমের কথা যদি বলা হয়, দাম বাড়ছে, তা হলে বলতে হয় এটা প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে। এ ডিমের লাখ লাখ খামারি আছে আর কিছু বড় ব্যবসায়ীও আছে। তাই লাখ লাখ ব্যবসায়ীকে আমরা কীভাবে কন্ট্রোল করব। তিনি বলেন, বিভিন্ন কারণে বেশকিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। একটা হলো ইম্পোর্টেড গুডস, সয়াবিন তেল, চিনি, ডাল ইম্পোর্ট করতে হয়।  সেজন্য আন্তর্জাতিক বাজারে যে দাম থাকে সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমাদের দাম নির্ধারণ করতে হয়। 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর