শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

নয় মাসে ট্রেনে কাটা পড়ে ৯৪ জনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

নয় মাসে ট্রেনে কাটা পড়ে ৯৪ জনের মৃত্যু

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের রাজশাহী বিভাগের ছয় জেলায় ট্রেনের ধাক্কা বা কাটা পড়ে ৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। চলতি বছরের গত নয় মাসে এসব দুর্ঘটনা ঘটে। সে হিসাবে প্রতি মাসে গড়ে ১০ জনের বেশি মারা গেছেন। এর মধ্যে পাবনায় ১৩, নাটোরে ১১, রাজশাহীতে ৪ ও সিরাজগঞ্জে ১৫ জন। এ ছাড়া বগুড়া, সান্তাহার ও জয়পুরহাটে ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কিছু মৃত্যু অসাবধানতাবশত। দ্রুত রেললাইন পারাপার ছাড়াও আত্মহত্যার মতো ঘটনা আছে। জানা গেছে, ১০ আগস্ট নগরীর কাদিরগঞ্জে ট্রেনের ধাক্কায় মনিকা তাবাসসুম চৈতির (১৩) মৃত্যু হয়। চৈতি নগরীর পিএন সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। ঘটনার দিনে সে পরিবারের সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছিল। অসাবধানতাবশত রেললাইনে উঠে গেলে ট্রেনের ধাক্কায় মারা যায়। এর দুই দিন পর ১৩ আগস্ট রাজশাহী নগরীর ডিঙ্গাডোবায় ট্রেনে কাটা পড়ে দীপ বাবুর (২৫) মৃত্যু হয়। ১১ জুন নাটোরের বাগাতিপাড়ায় ট্রেনের ধাক্কায় স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হয়। তারা হলেন উপজেলার জামানগর পশ্চিমপাড়া গ্রামের মফিজুর রহমান (৬০) ও সাবিনা ইয়াসমিন (৫০)। ১৫ আগস্ট নাটোরের লালপুরে মধুমতী এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাতপরিচয় এক কিশোরের (১৪) মৃত্যু হয়। ৫ জুলাই নাটোরে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে অজ্ঞাতপরিচয় এক নারীর মৃত্যু হয়। ২৩ জুলাই নাটোরে ট্রেনে কাটা পড়ে শম্পা খাতুনের (৩০) মৃত্যু হয়। ৬ জুলাই পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় ট্রেনে কাটা পড়ে কাশিনাথপুরের কাবারীকোলা গ্রামের জামিরুল (৩২) ও একই এলাকার বাবু মুন্সি (২৪), ১৩ মার্চ পাবনার ঈশ্বরদীতে শাহজাহান আলী বাবু (৫৫), ১৬ ফেব্রুয়ারি মিজান খাঁ (২৭) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। ১ মে জয়পুরহাটে আবুল কাশেম (৬৫), ২১ জুন জয়পুরহাট শহরের ডাকবাংলা এলাকায় অজ্ঞাত এক যুবক, ৮ আগস্ট জয়পুরহাট রেলস্টেশন এলাকায় তেলবাহী ট্যাংকার ট্রেনের ধাক্কায় অজ্ঞাত এক বৃদ্ধা, ২৩ জুলাই আক্কেলপুরের জামালগঞ্জে ৭০ বছরের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়।

১৯ জুন নওগাঁর আত্রাইয়ে শাহিনুর ইসলাম (৩২), ২৪ জুন চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে আমেনা বেগম (৬৫), ১৯ মে নাচোলে ট্রেনের ধাক্কায় রুহুল আমিনের (৩৫) মৃত্যু হয়। বগুড়া রেল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম বলেন, বগুড়ার সোনাতলা থেকে সান্তাহার, জয়পুরহাট নিয়ে মোট ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (দায়িত্বপ্রাপ্ত) হারুনুজ্জামান রোমেল বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পাবনা, নাটোর ও রাজশাহীতে ট্রেনে কাটা পড়ে ২৮ জন মারা গেছে। এর মধ্যে ২৬ জনের মৃত্যুর বিষয়ে মামলা হয়েছে। পাবনায় ১৩, নাটোরে ১১ ও রাজশাহীতে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার ট্রেনে কাটা পড়ে মৃতের সংখ্যা কম।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর