শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

বসুন্ধরায় ‘ক্রস কমিউনিটি রান’ অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

বসুন্ধরায় ‘ক্রস কমিউনিটি রান’ অনুষ্ঠিত

ঢাকার বিভিন্ন রানার্স গ্রুপের অংশগ্রহণে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় হয়ে গেল ‘বসুন্ধরা রানার্স ক্রস কমিউনিটি রান ২০২৩’। বসুন্ধরা রানার্স গ্রুপের আয়োজনে গতকাল ছুটির দিনের ভোরে ঝিরিঝিরি হিমেল হাওয়ায় এ দৌড়ে অংশ নেন অন্তত ১৩০ জন। ৫ কিলোমিটারের এ দৌড় প্রতিযোগিতায় ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি থেকে বাবা-মায়ের হাত ধরে হাজির হয় ১০ বছরের শিশুও। এবারের আয়োজনের প্রতিপাদ্য ছিল ‘সাপোর্ট মেন্টাল হেলথ’। তবে এ আয়োজনে ছিল না প্রথম, দ্বিতীয় বা তৃতীয় হওয়ার তাড়া। সন্তানকে কাঁধে নিয়ে বাবার ৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেওয়ার দৃশ্য দৃষ্টি কেড়ে নেয় সবার। বসুন্ধরা রানার্সের ‘একত্রে দৌড়াব, একত্রে জয় করব’ এমন ব্যানারে শুরু হওয়া আয়োজন শেষ হয় আবাসিক এলাকায় অবস্থিত ফুড হলে সকালের নাশতা দিয়ে। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাসিন্দাদের নিয়ে গড়ে ওঠা বসুন্ধরা রানার্স গ্রুপের সদস্যদের পাশাপাশি দৌড়ে অংশ নেন বিডি রানার্সসহ দেশের অন্যান্য রানার্স গ্রুপের সদস্যরাও। বিভিন্ন ম্যারাথন দৌড়ে পদকজয়ীরাও হাজির হন মনোমুগ্ধকর এ আয়োজনে। গতকাল সকাল সাড়ে ৬টায় বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ‘আই’ ব্লক থেকে শুরু হয় ৫ কিলোমিটারের দৌড়। এম ব্লক ঘুরে দৌড় শেষ হয় ফের একই স্থানে। নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ কেউ বাদ যাননি এ দৌড় থেকে। প্রতি বছরই বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় দেশের বিভিন্ন রানার্স গ্রুপকে আমন্ত্রণ করে বসুন্ধরা রানার্স গ্রুপ। ফেসবুকভিত্তিক গ্রুপটির অ্যাডমিন প্যানেলের সদস্য তারেক উদ্দিন বলেন, ‘এখানকার মতো প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও দৌড়ের পরিবেশ ঢাকা শহরে তেমন নেই। বসুন্ধরা গ্রুপ যথেষ্ট কো-অপারেটিভ। তারা আমাদের দৌড়ের জন্য নির্দিষ্ট সময়ে বিভিন্ন রাস্তা বন্ধ করে দেয়, ফলে আমরা খুব সুন্দরভাবে দৌড়াতে পারি। এবারের দৌড়ে ১৩০ জনের মতো দৌড়বিদ অংশ নিয়েছেন। বসুন্ধরার বাইরে থেকে এসেছেন ৭০ জন। তারাও এখানকার পরিবেশ দেখে খুবই সন্তুষ্ট। এ ধরনের আয়োজনের মাধ্যমে আমাদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ ও সামাজিক বন্ধন আরও সুদৃঢ় হয়। আমাদের উদ্দেশ্য বসুন্ধরা রানার্সের মাধ্যমে সবার মধ্যে একটা স্বাস্থ্যকর জীবনের বার্তা দেওয়া। শরীরের পাশাপাশি মানসিক সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা।’ দৌড়ে অংশ নেওয়া ধানমন্ডি গভ. বয়েজ হাইস্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক লুৎফর রহমান বলেন, ‘সুস্থ থাকতে করোনাকাল থেকে দৌড়াচ্ছি। আজকের (শুক্রবার) উদ্যোগটা অসাধারণ। বসুন্ধরায় আগেও দৌড়াতে এসেছি। চমৎকার পরিবেশ। এজন্য তাদের ধন্যবাদ। এমন আয়োজনে শুধু স্বাস্থ্যের উপকার তাই নয়, আমাদের মধ্যে সৌহার্দ বৃদ্ধি পায়।’ দেশের বিভিন্ন ম্যারাথন ইভেন্টে পদকজয়ী নার্গিস জাহান ওহাব বলেন, ‘আজকের আয়োজনটা সত্যিই অসাধারণ। এ ধরনের সম্মিলিত দৌড় আমাদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতায় বড় অবদান রাখে। পাঁচ বছর ধরে দেশে দীর্ঘ দূরত্বের দৌড়ে মানুষের অংশগ্রহণ বাড়ছে। পুরুষের পাশাপাশি প্রচুর নারীও আসছেন। ফল হিসেবে এ বছর আমাদের দেশ থেকে প্রচুর রানার বিদেশে গেছেন প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে। এ ধরনের আয়োজনে বসুন্ধরা রানিং কমিটির সব সময় বড় উদ্যোগ দেখি।’

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর