শিরোনাম
বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

স্কুলের সীমানাপ্রাচীরে অবরুদ্ধ শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

জমির মালিকানা বিরোধে খুলনার মহেশ্বরপাশা বণিকপাড়ায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়ছেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সিপাহি আশরাফ আলীর পরিবার। বাড়ি থেকে বের হওয়ার পথ বন্ধ করে পাশের মহেশ্বরপাশা নিউ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়ায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। জানা যায়, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদের সহযোদ্ধা ছিলেন। মহেষপুর সীমান্তে সম্মুখযুদ্ধে আশরাফ আলী শহীদ হন। বণিকপাড়ার এই বাড়িতে তার বোন মুক্তিযোদ্ধা ভাতাপ্রাপ্ত আক্তারুন্নেছা থাকেন। চলাচলের পথটি বন্ধ করে স্কুলের সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ হলে এই বাড়ি থেকে কেউ বাইরে বের হতে পারবেন না। প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ ও এলজিইডি এ সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করছে। সরেজমিন দেখা যায়, স্কুলের তিন দিকেই চলাচলের রাস্তা ও একদিকে মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলীর বোন আক্তারুন্নেছার বাড়ি। সীমানাপ্রাচীর না থাকায় এতদিন এই বাড়ির লোকজন স্কুল মাঠের দক্ষিণ-পূর্ব পাশ দিয়ে মূল রাস্তায় উঠতেন। এক্ষেত্রে তারা স্কুলের ৪০ শতক জমির মধ্যে ১ শতকের মতো জমি ব্যবহার করতেন। আক্তারুন্নেছার ছেলে তারিকুল ইসলাম জানান, সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ হলে বাইরে বের হওয়ার রাস্তা থাকবে না। তিনি বলেন, এ বাড়িতে তার পিতা মাহাবুবুর রহমানের রেখে যাওয়া সম্পত্তির পরিমাণ ১০ শতক কিন্তু তাদের দখলে আছে ৭ শতকের মতো। বাকি জমি স্কুলের মধ্যে আছে।

তার পরও মানবিক দিক বিবেচনায় বাড়ি থেকে বের হওয়ার পথ রেখে স্কুলের সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করার দাবি জানান তিনি। এক্ষেত্রে তারা একই সঙ্গে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেন। অন্যদিকে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি (জমিদাতা) সেলিম আবেদিন জানান, সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের ফলে সৃষ্ট সমস্যাটি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করার চেষ্টা করছি। প্রয়োজনে স্কুলের সীমানার কাছে একটি করিডোরের মতো জায়গা রেখে তাদের চলাচলে ব্যবস্থা করতে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় এমপি এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন। যেহেতু সরকারের অর্থায়নে সরকারি স্কুলেরসীমানা প্রাচীর নির্মাণ হচ্ছে ফলে তারা এককভাবে কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারছেন না।

সর্বশেষ খবর