বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

৭৭-এর সৈনিক হত্যার দায়ে জিয়ার মরণোত্তর বিচার চাই : মায়ের কান্না

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

১৯৭৭ সালে ১ হাজার ১৫৬ জন সৈনিক হত্যার দায়ে জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচারের দাবি জানিয়েছে ‘মায়ের কান্না’ নামে সংগঠন। শুধু তাই নয়, সংগঠনটি জাতীয় সংসদ এলাকা থেকে জিয়ার কবর সরিয়ে নেওয়ারও দাবি জানায়। ‘মায়ের কান্না’র আহ্বায়ক কামরুজ্জামান মিয়া লেনিন গতকাল রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে এক সংবাদ সম্মেলনে আট দফা দাবি জানিয়ে বলেন, ১৯৭৭ সালের সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে জাপানি উগ্রবাদী সংগঠন রেড আর্মির সদস্যরা জাপান এয়ারলাইনসের একটি বিমান হাইজ্যাক করে ঢাকা বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সে সময় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তৎকালীন বিমান বাহিনীর প্রধানসহ সদস্যরা সার্বক্ষণিক নিয়োজিত ছিলেন। পয়লা অক্টোবর জিয়াউর রহমানের অনুগত বাহিনী ঢাকা সেনা ও বিমান বাহিনীর ছাউনিতে এলোপাতাড়ি গোলাগুলি করে শত শত ঘুমন্ত সৈনিককে ব্যারাক থেকে তুলে অস্ত্রের মুখে বের করে নিয়ে আসে এবং পরে তাদের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের অভিযোগ এনে ক্যান্টনমেন্টের ভিতরে বিভিন্ন নির্যাতন কক্ষে নির্মমভাবে পিটিয়ে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে। ফায়ারিং স্কোয়াড ও ফাঁসিতে ঝুলিয়ে ১ হাজার ১৫৬ সেনা ও বিমান বাহিনীর সদস্যকে খুন করেন জিয়াউর রহমান।

সংবাদ সম্মেলনে দাবি জানানো হয়, জিয়াউর রহমানের সামরিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর সেনা ও বিমান বাহিনীর ফাঁসি, কারাদন্ড ও চাকরিচ্যুত সদস্যদের নির্দোষ ঘোষণা করা, তাদের তালিকা প্রকাশ, নিহত প্রত্যেককে স্ব স্ব পদে সর্বোচ্চ র‌্যাংকে পদোন্নতি দেখিয়ে বর্তমান স্কেলে বেতন-ভাতা, পেনশনসহ সরকারি সকল প্রকার সুযোগসুবিধা প্রদান, নিহতদের শহীদ হিসেবে রাষ্ট্রীয় ঘোষণা প্রদান, তাদের কবরস্থান চিহ্নিত করে নামসহ স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি, নিহতদের পোষ্যদের যোগ্যতা অনুযায়ী সরকারি চাকরিতে নিয়োগ প্রদান, জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার এবং জাতীয় সংসদ এলাকা থেকে জিয়াউর রহমানের কবর অপসারণ করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর নিহত সেনা ও বিমান বাহিনীর পরিবারের সদস্য সাইদুর রহমান, খোরশেদুর রহমান প্রিন্স, নাজমুল হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) নাসিমসহ অন্যরা।

সংবাদ সম্মেলন শেষে ’৭৭-এর সামরিক ষড়যন্ত্রের শিকার নিহতদের এবং বিভিন্ন সময়ে বিএনপি-জামায়াতের তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত-নির্যাতিত মানুষের ছবি নিয়ে পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে তিন দিনব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়। এর উদ্বোধন করেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোছাদ্দেক হোসেন বাবলু।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর