শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

রাজশাহী যুবলীগে অস্থিরতা

চার দিন পর সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহী যুবলীগে অস্থিরতা

রাজশাহীতে দীর্ঘদিন ধরে কমিটি না হওয়া যুবলীগ অবশেষে চাঙা হয়েছে। ২৬ সেপ্টেম্বর মহানগর ও জেলা যুবলীগের সম্মেলন। সাত বছর পর হচ্ছে সম্মেলনের এই আয়োজন। নেতৃত্ব প্রত্যাশীরা সম্মেলন ঘিরে তৎপর হয়ে উঠেছেন। তৃণমূলও চাঙা হয়েছে। তবে দিনক্ষণ এগিয়ে আসায় শুরু হয়েছে এক ধরনের অস্থিরতা। নেতৃত্ব প্রত্যাশীরা একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়াচ্ছেন কুৎসা। এরই মধ্যে যুবলীগের এক কর্মীর ওপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে।

সম্মেলনকে সামনে রেখে নগরজুড়ে পড়ে গেছে সাজ সাজ রব। ব্যানার ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে পুরো নগরী। বিশেষ করে পদপ্রত্যাশীরা নিজ নিজ নামের ফেস্টুনে রাঙিয়েছেন নগরী। কর্মীরাও সমর্থন জানিয়ে নেতার পোস্টার টানিয়েছেন।   সব মিলে রাজশাহী এখন উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে।

তবে সপ্তাহখানেক ধরে নগর যুবলীগে চলছে অস্থিরতা। মানিক নামের এক কর্মীকে  ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। এ ছাড়া অতীত তুলে কয়েকজন নেতা চালাচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রপাগান্ডা।  

সর্বশেষ ২০১৬ সালের ৫ মার্চ মহানগর যুবলীগের সম্মেলন হয়। ওই সম্মেলনে আগের কমিটির সভাপতি রমজান আলী ও সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন বাচ্চুকে আবারও একই দায়িত্ব দেওয়া হয়। ফলে প্রায় ২০ বছর ধরে তারাই মহানগর যুবলীগের নেতৃত্বে আছেন। তবে এবার প্রার্থী হচ্ছেন না বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। দলের হাইকমান্ডে তারা জীবনবৃত্তান্ত জমাও দেননি।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে রাজশাহী জেলা ও   মহানগর যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে আগ্রহীদের জীবনবৃত্তান্ত আহ্বান করে কেন্দ্র। মহানগরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য ২৮ জন নেতা তাদের জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে সভাপতি পদে ১০ ও সাধারণ সম্পাদক পদে ১৮ জন।

রাজশাহী জেলা যুবলীগের কমিটি হয়েছিল ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ। ওই সম্মেলনে আবু সালেহ সভাপতি ও এ এইচ এম খালিদ ওয়াসি কেটু সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। জেলা যুবলীগের দুই পদের জন্য ২২ নেতা তাদের জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে সভাপতি পদে ৯ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ১৩ জন।

পদপ্রত্যাশীরা বলছেন, আওয়ামী লীগের পরই সহযোগী সংগঠনগুলোর মধ্যে যুবলীগ সবচেয়ে শক্তিশালী। গেল ২০০৯ সালের পর থেকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে নানা আন্দোলন-সংগ্রামে রাজশাহীতে তেমন সাড়া ফেলতে পারেনি যুবলীগ।

এ নিয়ে অসন্তোষ ছিল নেতা-কর্মীদের মাঝে। এমনকি মূল দল আওয়ামী লীগের মাঝেও  হতাশা ছিল। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নতুন করে কমিটি গঠনের উদ্যোগে এখন বেশ উজ্জীবিত সবাই।

সভাপতি প্রার্থী তৌরিদ আল মাসুদ রণি বলেন, দীর্ঘদিন পর সম্মেলনের ঘোষণায় উজ্জীবিত নেতারা। বিশেষ করে প্রতিটি ওয়ার্ডে সাধারণ নেতা-কর্মীরা খুশি। সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী  নাহিদ আকতার নাহান বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে কর্মীদের মধ্যে যে উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে, তাতে আগামী নির্বাচনে এই সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ   ভূমিকা রাখবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর