শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

বাজেট ছাড়াই চলছে কেসিসি!

২০২৩-২৪ অর্থবছরের উন্নয়ন পরিকল্পনা জানেন না কর্মকর্তারাও

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

বাজেট ছাড়াই চলছে কেসিসি!

খুলনা সিটি করপোরেশনের সর্বশেষ ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করা হয় ২০২২ সালের ২৮ জুলাই। ওই অর্থবছরে আয়ব্যয়ের হিসাব ও উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মেয়াদ ছিল চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত। এরপর নতুন অর্থবছর ২০২৩-২৪-এর তিন মাসেও বাজেট ঘোষণা করেনি সিটি করপোরেশন। এতে এক প্রকার পরিকল্পনাহীনভাবেই চলছে প্রতিষ্ঠানটি। কর্মকর্তারা বলছেন, ১২ জুন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর মেয়র-কাউন্সিলররা এখনো দায়িত্ব গ্রহণ করেননি। নগরীর উন্নয়নে তাঁদের মতামত ছাড়াই নতুন অর্থবছরে বাজেট তৈরি ও ঘোষণার ঝুঁকি নিতে চাইছেন না তাঁরা।

জানা যায়, গত চার বছরে জুলাই-আগস্টের মধ্যেই নতুন অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করে কেসিসি। ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট দেওয়া হয় ২০২২ সালের ২৮ জুলাই। এ ছাড়া ২০২১-২২ ও ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট দেওয়া হয় যথাক্রমে ২০২১ সালের ২৬ আগস্ট ও ২০২০ সালের ২৬ আগস্ট। ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা হয় ২০১৯ সালের ২৪ জুলাই।

এদিকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট এখনো ঘোষণা না হওয়ায় গত অর্থবছরের বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের হার ও নতুন উন্নয়ন পরিকল্পনা জানেন না করপোরেশনের কর্মকর্তারা। ফলে পরিকল্পনাহীন অবস্থায় চলছে সিটি করপোরেশন।

বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ-উজ্জামান জানান, একটি নির্দিষ্ট বছরে কোথায় কত টাকা আয়ব্যয় হবে সেই পরিকল্পনা থাকে বাজেটে। একই সঙ্গে গত অর্থবছরে কোন খাতে কত আয়ব্যয় হয়েছে, তার হিসাবও দেওয়া হয়। যারা কেসিসির দায়িত্ব নিয়েছেন তারা আগাম কিছু পরিকল্পনা করে ভবিষ্যৎ উন্নয়নও নির্ধারণ করে থাকেন। কিন্তু অর্থবছরের তিন মাসেও বাজেট ঘোষণা না হওয়ায় জবাবদিহিতার জায়গা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন নগরবাসী।

তবে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কর তাজুল ইসলাম জানান, একটা বাজেট তৈরি করা হয়েছে। সিটি মেয়র ১১ অক্টোবর দায়িত্ব নেবেন। তাঁর (মেয়র) সঙ্গে এ নিয়ে কথাও হয়েছে। উনি যেদিন দায়িত্ব নেবেন সেদিন জানাবেন কবে বাজেট ঘোষণা করবেন। এর আগে কাউন্সিলরদের সঙ্গে আলোচনা করে বাজেট চূড়ান্ত করবেন।

উল্লেখ্য, ৩ জুলাই নবনির্বাচিত সিটি মেয়র-কাউন্সিলররা শপথ গ্রহণ করেন। তবে এখন পর্যন্ত তাঁদের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। এর আগে ১১ মে পদত্যাগ করে সিটি মেয়র নির্বাচনে প্রার্থী হন। ফলে চার মাসের বেশি সময় গুরুত্বপূর্ণ মেয়রের আসনটি শূন্য রয়েছে নগর ভবনে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর