জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভ্রাতুষ্পুত্র ও বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দীন বলেছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম হুমায়ুন কবির ছিলেন জাতির পিতার আদর্শের সৈনিক। তিনি দীর্ঘদিন কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। জীবনে অনেক বাধা উপেক্ষা করে এই দলের সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন। তাঁর অকাল মৃত্যুতে কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। গতকাল গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার গচাপাড়া গ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম হুমায়ুন কবিরের কবর জিয়ারত শেষে তাঁর পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে যুবলীগের প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও সদস্য নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। কোটালীপাড়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ফজলুর রহমান দিপুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত যুবলীগের প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও সদস্য নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজ নির্বাচনী এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি ও সাবেক সিনিয়র সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান, কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল হাজরা বক্তব্য রাখেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মো. শহীদ উল্লা খন্দকার বলেন, ৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো একজন যোগ্য নেতা আমরা পেয়েছিলাম বলেই এ দেশ স্বাধীন হয়েছিল। তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার মতো একজন যোগ্য নেতৃত্ব আমরা পেয়েছি বলেই আজ সারা বিশ্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল।

এরপর শেখ হেলাল উদ্দীন এমপি টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পুবের বিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজ নির্বাচনী এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি মো. শহীদ উল্লা খন্দকারের চেষ্টায় বাস্তবায়িত কৃষি অধিদফতরের বিভিন্ন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

এ সময় গোপালগঞ্জ জেলা ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

মো. শহীদ উল্লা খন্দকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পুবের বিলে অনাবাদি জমি এখানকার কৃষকরা আবাদের আওতায় নিয়ে এসেছেন। এই বিলে যেসব কৃষক কাজ করছেন তাদের বিশ্রামের জন্য একটি শেড নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলে এখানে বসে কৃষকরা খাবার খেতে পারবে। ঝড় বৃষ্টি এলে এখানে আশ্রয় নেবেন। এসব কৃষকের জন্য এখানে একটি বাথরুম নির্মাণ করা হচ্ছে। সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে যে রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়েছে তার দুই পাশ দিয়ে বজ্র প্রতিরোধে তালের বীজ রোপণ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে এই বিলে আধুনিক কৃষি ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে। এটি কৃষি ক্ষেত্রে আমাদের মডেল। আমরা সারা দেশে এ ধরনের প্রকল্প গ্রহণের চেষ্টা করব।