শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

পালরদী নদীর তীর দখলে মহোৎসব, হারিয়েছে নাব্য

রাহাত খান, বরিশাল

পালরদী নদীর তীর দখলে মহোৎসব, হারিয়েছে নাব্য

পালরদী নদীর তীর দখলের মহোৎসব চলছে। বরিশালের গৌরনদী উপজেলার এ নদীটির দুই তীরে পাকান্ডআধাপাকা স্থাপনা তৈরি করায় সরু হয়ে গেছে এর প্রস্থ। দূষণে হারিয়েছে নাব্য। অবৈধ দখল-দূষণ রোধে উপজেলা প্রশাসন বা পানি উন্নয়ন বোর্ড এ প্রতিবেদন তৈরি পর্যন্ত কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেয়নি। গৌরনদী বন্দর, পৌরশহর, চরগাধাতলী, টরকীর চর, নতুন টরকী, উপজেলার পিঙ্গলাকাঠি, হোসনাবাদ, কয়ারিয়া, পাশের কালকিনি উপজেলার কালকিনি বন্দর, চরপাঙ্গাশিয়া, ঠেঙ্গামারা, সিকারমঙ্গল বাজার ও চরবিভাগদির মধ্য দিয়ে পালরদী নদী প্রবাহিত। নদীর ৫ থেকে ৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে মধ্যে দুই তীরে প্রায় ৬০০ অবৈধ স্থাপনা নির্মিত হয়েছে। তীর দখল করে পাকা ভবন নির্মাণ করে গড়ে তোলা হয়েছে ডাল মিল, রাইস মিল, স-মিল, অয়েল মিল। এ ছাড়া পাকান্ডআধাপাকা বসতঘর, দোকানঘর, টংঘর নির্মাণ করা হয়েছে। অনেকে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে ভাড়াও দিয়েছেন। পালরদী নদীর পশ্চিম তীরে গৌরনদী বন্দর, টরকীর চর ও কালকিনি বন্দর। পুব তীরে নতুন টরকীর হাট। এ বিষয়ে গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাঈদ মাহাবুব খান জানান, নদীর তীরে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কয়েকটি মামলা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বিচারাধীন রয়েছে। জেলা প্রশাসনের আদেশ পেলেই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হোসেন বলেন, নদীরক্ষার দায়িত্ব মূলত জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের। এ ছাড়া জনপ্রতিনিধিসহ জনগণেরও দায়িত্ব আছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা নেই। প্রশাসন উদ্যোগ নিলে পানি উন্নয়ন বোর্ড লজিস্টিক সাপোর্ট দিতে পারে। কারও একার পক্ষে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করা সম্ভব নয়। সম্মিলিত উদ্যোগ নিয়ে নদীর অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর