শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

এমটিএফই অ্যাপের রাজশাহীর হোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহীতে ‘এমটিএফই’ অ্যপের মাধ্যমে প্রতারণা ও বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে রাজশাহীর আদালতে মামলা হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে গেছে মূল হোতারা। তারা হলেন- এমটিএফই’র রাজশাহী বিভাগীয় প্রধান নগরীর রাজপাড়ার ডালুর ছেলে সবুজ ও তার স্ত্রী আশা মনি এবং তাদের অন্যতম সহযোগী একই এলাকার খোকনের ছেলে আবদুর রহমান বিপ্লব ও তার স্ত্রী সুমি। এদিকে প্রতারিতরা ঝামেলা এড়াতে নীরবে কাঁদছেন। জানা গেছে, ‘এমটিএফই’ অ্যাপে বিনিয়োগ নিয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনে খবর প্রকাশ হলে ২৩ জুলাই আইনজীবী জহুরুল ইসলাম রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। এতে ‘এমটিএফই’ ছাড়াও ‘আলটিমা উইলেট’ অ্যাপের মাধ্যমে প্রতারণার বিষয়ে উল্লেখ করা হয়। আদালতের বিচারক জিয়াউর রহমান মামলা হিসেবে রেকর্ড করার জন্য নগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তিনটি সংস্থার তিনজন কর্মকর্তাকে যৌথভাবে এ মামলা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। পরের দিন মামলাটি থানায় রেকর্ড করা হয়। গত ২৪ আগস্ট রাতে এমটিএফই অ্যাপ ব্যবহার করে অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগে দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তারা দুজনই রাজশাহী শহরে বসবাস করতেন। রাজপাড়া এলাকার ফিরোজ অভিযোগ করেন, এমটিএফই অ্যপের রাজশাহী বিভাগের প্রধান রাজপাড়া এলাকার ডালুর ছেলে সবুজ ও তার স্ত্রী আশা মনি এবং তাদের অন্যতম সহযোগী একই এলাকার খোকনের ছেলে আবদুর রহমান বিপ্লব ও তার স্ত্রী সুমির মাধ্যমে ১৪ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে প্রতারণার শিকার হন। মামলা হওয়ার পর থেকে সবুজ ও বিপ্লব পলাতক রয়েছে। এদিকে সবুজের স্ত্রী আশা মনি ও বিপ্লবের স্ত্রী সুমি এলাকায় থাকলেও তাদের গ্রেফতার করছে না পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইর এসআই শিমুল কুমার বলেন, এমটিএফই অ্যাপের সঙ্গে জড়িত চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। নগর পুলিশের মুখপাত্র জামিরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি মামলার তদন্ত কর্মকর্তাদের ওপরে নির্ভর করে। দায়ীদের গ্রেফতারে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর