রাজধানীর ধানমন্ডি লেকের রবীন্দ্র সরোবরে দোকান কর্মচারীদের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে ঢাবির অন্তত আট শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। আহত শিক্ষার্থীরা বলছেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক দোকান কর্মচারীর সঙ্গে কথা কাটাকাটির সূত্র ধরে ঘটনার সূত্রপাত। একপর্যায়ে সব দোকান কর্মচারী একত্রিত হয়ে তাদের ওপর রড লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায়। পুলিশ বলছে, বাগ্বিতণ্ডার খবর শোনার পর ঢাবির বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ঘটনাস্থলে যান। একপর্যায়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়।

আহত শিক্ষার্থীরা হলেন- ঢাবির অমর একুশে হলের রোবটিকস অ্যান্ড মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান আলিফ, ফার্মেসি বিভাগের বায়োজিদ, নাসিফ, ইতিহাস বিভাগের আজিম মাহমুদ তৌহিদসহ সিফাতুল ইসলাম, আজহা, মাহিন ও জুনায়েদ। ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া জানান, আটজনের মধ্যে আলিফের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত রয়েছে। এ ছাড়া বাকি সাত জনের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত রয়েছে। তাদের সবাইকে জরুরি বিভাগের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ওই কর্মচারী ঢাবির নারী শিক্ষার্থীকে বাজে মন্তব্য করেন। পরে ওই দুই শিক্ষার্থী তাদের সহপাঠীদের খবর দিলে তারা সবাই মিলে সেখানে যান। একপর্যায়ে সব দোকান কর্মচারীরা একত্রিত হয়ে তাদের ওপর আক্রমণ করে। লাঠিসোঁটা, রড, বাঁশ দিয়ে তাদের মারধর করেন। ধানমন্ডি লেকে সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে চাইলে ধানমন্ডি জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) আবু তালেব বলেন, ঘটনার শুরু হয় বিকালের দিকে কয়েকজন শিক্ষার্থী ধানমন্ডি লেকের এক রেস্টুরেন্টে খাবার অর্ডার করে। অর্ডার দিয়ে সেখানে তাস খেলতে বসে। পরে সেখান থেকে তাদের সরে যেতে বলায় বাগ্বিতণ্ডা হয়। এরপর বিষয়টা আবার মীমাংসা হয়। পরে এই বিষয়টা ঢাবির অন্য শিক্ষার্থীরা জানার পরে তারা এসে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে আটজন আহত হয়েছেন।