সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

সাঘাটা-ফুলছড়ি আসনে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে ফারজানা বুবলী

নিজস্ব প্রতিবেদক

সাঘাটা-ফুলছড়ি আসনে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে ফারজানা বুবলী

গাইবান্ধার ফুলছড়ি-সাঘাটা এলাকায় নিয়মিত গণসংযোগ করছেন ফারজানা রাব্বী বুবলী -বাংলাদেশ প্রতিদিন

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা না হলেও গাইবান্ধা জেলার নদবেষ্টিত ফুলছড়ি-সাঘাটা উপজেলা নিয়ে গঠিত গাইবান্ধা-৫ আসনে আগামী দিনে কে এমপি হবেন তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। বিশেষ করে এই আসনে গত সাতবারের এমপি সাবেক ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে যে নেতৃত্বশূন্যতা দেখা দিয়েছে, তা থেকে উত্তরণের জন্য কে যোগ্য নেতৃত্ব দেবেন তা নিয়ে মানুষের মাঝে উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। কারণ, ফুলছড়ি-সাঘাটা উপজেলা নদী ভাঙনকবলিত অনগ্রসর একটি এলাকা। এই জনপদের গরিব-অসহায়, দুস্থ মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া দিনরাত পরিশ্রম করে গেছেন। তার পরিশ্রম ও আন্তরিকতার ফলশ্রুতিতে অবহেলিত ভাগ্যহারা এই জনপদের মানুষের কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, যোগাযোগব্যবস্থাসহ সব ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। তাই অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে ফুলছড়ি-সাঘাটার মানুষ  নেতৃত্বশূন্যতার আশঙ্কা করছে। তবে মানুষের এই আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে নতুন সূর্য হিসেবে এগিয়ে এসেছেন মরহুম অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়ার সুযোগ্য কন্যা ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উত্তরসূরি ফারজানা রাব্বী বুবলী। পিতা অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়ার পদাঙ্ক অনুসরণ করে প্রায় ২০ বছর ধরে ফারজানা রাব্বী বুবলী ফুলছড়ি-সাঘাটা উপজেলার জনসাধারণের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। কীভাবে নেতৃত্ব দিতে হবে মজলুম জনতার আকাক্সক্ষাকে ধারণ করে, কীভাবে মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করতে হবে- দীর্ঘদিন পিতার সান্নিধ্যে থেকে তিল তিল করে সে যোগ্যতা অর্জন করেছেন ফারজানা রাব্বী বুবলী। পিতার যশ-খ্যাতি রয়েছে। স্বামী মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার (খুশী) সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারপতি। দুই পরিবারের প্রভাব-প্রতিপত্তি, সুনাম ও ব্যাপক জনপ্রিয়তা আছে। ফলে ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগ এবং গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মাঝে ফারজানা রাব্বী বুবলীর জনপ্রিয়তা ঈর্ষণীয়। রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে ফারজানা রাব্বী বুবলী প্রায় ২০ বছর ধরে প্রতি রমজান মাসে ফুলছড়ি-সাঘাটা উপজেলার সব বীর মুক্তিযোদ্ধা, সব মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন, সরকারি, বেসরকারি সব কলেজ, মাদরাসার শিক্ষক, কর্মচারী, এতিম, ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য, দুই উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের নির্বাচিত চেয়ারম্যান, বিভিন্ন এনজিও সমিতি, শ্রমিক সংগঠনসহ আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী লীগের সব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সর্বস্তরের নেতা-কর্মী নিয়ে পৃথক পৃথকভাবে নিজ বাড়িতে ইফতারসহ নৈশভোজের মাধ্যমে মতবিনিময় করে আসছেন। প্রতি বছর নিজ তহবিল থেকে দলীয় কর্মীসহ অসহায় মানুষের মাঝে বস্ত্র বিতরণ, কন্যাদায়গ্রস্ত পিতার কন্যার বিয়েতে অর্থ সহায়তা প্রদান, গরিব মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের আর্থিক সহয়তা ও চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তাসহ মানুষের যে কোনো বিপদে ও প্রয়োজনে ফারজানা রাব্বী বুবলী সহায়তা করে যাচ্ছেন। ফলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফুলছড়ি-সাঘাটা আসনে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে আছেন ফারজানা রাব্বী বুবলী। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে সরেজমিন আলাপচারিতায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। এই প্রতিনিধি ফুলছড়ি-সাঘাটা উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলেছেন। সাঘাটা উপজেলার মুক্তিনগর ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা সরদার জানান, মরহুম ভেলু ভাই (অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী) যেভাবে ফুলছড়ি-সাঘাটার মানুষের সেবা করে গেছেন, তার প্রতিচ্ছবি আমরা ভেলু ভাইয়ের কন্যা ফারজানা রাব্বী বুবলীর মাঝে পেয়েছি। সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনের চা দোকানদার ছমির মিয়া এবং কালিরবাজারে চা দোকানদার কাফি মিয়া বলেন, বুবলী আপার সঙ্গে দেখা হলে অত্যন্ত হাসিমুখে আন্তরিকতার সঙ্গে কথা বলেন, কোনো অহংকার নাই। গাইবান্ধা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক উপ-প্রচার সম্পাদক আবু তারেক আজিজ তমাল, সাঘাটা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা কবির সরকার, কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ কর্মী রুবেল সরকার এই প্রতিনিধিকে জানান, ফুলছড়ি-সাঘাটার রাজনৈতিক নেতৃত্বের মাধ্যমে আপামর জনতার ভাগ্যোন্নয়নে ফারজানা রাব্বী বুবলীর বিকল্প নেই। ঘুরিদহ ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আমিনুল ইসলাম, কামালের পাড়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য বাছের আলী জানান, যখনই কাজের জন্য ভেলু ভাইয়ের কাছে গেছি, বুবলী আপা আমাদের সব সময় সহযোগিতা করেছেন। কালিরবাজার জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা সাইফুল ইসলাম জানান, বুবলী আপা অত্যন্ত বিনয়ী ভদ্র এবং অমায়িক নারী। দেখা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মুরব্বিদের সালাম দেন, কুশল বিনিময় করেন। গুণভরি হাইস্কুলের শিক্ষক তরিকুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয়ের কোনো গরিব শিক্ষার্থীর জন্য সুপারিশ করলে বুবলী আপা সঙ্গে সঙ্গে তার পড়াশোনার বিষয়ে আর্থিক সহায়তা দেন। এদিকে আওয়ামী লীগ ছাড়াও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, মরহুম অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া যেমন আওয়ামী লীগের এমপি হলেও সবার জন্য তার দরজা খোলা ছিল তেমনি ফারজানা রাব্বী বুবলীও পরমতসহিষ্ণু, উদার মানসিকতার একজন রাজনৈতিক নেতা। তাকে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন দিলে ভিন্নমতের অনেকেই ভোট দেবে। প্রকৃতপক্ষে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মাঝে আপামর জনতার মধ্যে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে আছেন ফারজানা রাব্বী বুবলী। অন্য কাউকে মনোনয়ন দিলে আসনটি হারাতে পারে আওয়ামী লীগ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর