মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

উজিরপুরে সন্ধ্যা নদীর ভাঙনে আশ্রয়হীন অর্ধশত পরিবার

রাহাত খান, বরিশাল

উজিরপুরে সন্ধ্যা নদীর ভাঙনে আশ্রয়হীন অর্ধশত পরিবার

বরিশালের উজিরপুরে সন্ধ্যা নদীর অব্যাহত ভাঙনে বিলীন হয়েছে বসতবাড়ি, রাস্তাঘাট, স্কুল, মসজিদ, মন্দির, বিভিন্ন স্থাপনা, বাগান ও ফসলি জমি। বসতঘর হারিয়ে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে শত শত মানুষ। নদী ভাঙন প্রবল হওয়ায় হুমকিতে পড়েছে উজিরপুর সাতলার গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ সড়ক। উজিরপুর উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত সন্ধ্যা নদীর ভাঙনে প্রতিবছর ভিটে মাটি হারিয়ে ভূমিহীন হচ্ছে শত পরিবার। দুই সপ্তাহ ধরে ব্যাপক ভাঙনে বরাকোঠা ইউনিয়নের নাড়িকেলী গ্রামের ৫০টির বেশি পরিবারের ঘরবাড়ি, ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এ ছাড়া কলেজ, মন্দির, চথলবাড়ী মা ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্র, স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ ও গ্রাম্য সড়কও নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। গৃহবধূ আকলিমা বেগম জানান, সন্ধ্যা নদীর ভাঙনের মাত্রা কিছুদিন ধরে বেড়েছে। আকস্মিক ভাঙনে মৃধা বাড়ির আবদুল মোতালেব, আবুল বাশার, আদম আলী, মো. আব্বাস, মনির হোসেন, মো. কালু ও জাকির মৃধার বসতঘর বিলীন হয়ে গেছে। নাড়িকেলী গ্রামের অরুণ মন্ডল জানান, অব্যাহত ভাঙনে সম্প্রতি শত বছরের পুরনো অবিনাশ ডাক্তারের বাড়ির মাজু বৈরাগী, রণজিত বাড়ৈ, পরিতোষ মন্ডল ও অমূল্যর বাড়ি ছাড়াও বিপুল সংখ্যক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। গত বছর নদী ভাঙনে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাব?্যতীর্থ কলেজ, মন্দির, চথলবাড়ী মা ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্র, স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ চলাচলের রাস্তা নদীতে বিলীন হয়েছে। এখনো ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে নদী তীরবর্তী হাজারো পরিবার। ক্ষতিগ্রস্ত ও হুমকির মুখে থাকা পরিবারগুলো নদী ভাঙনে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।  সন্ধ্যা নদী ভাঙনে শত শত পরিবার নিঃস্ব হওয়ার কথা স্বীকার করে তাদের পুনর্বাসনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বরাকোঠা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম মৃধা। এ বিষয়ে উজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারিহা তানজিম বলেন, নদী ভাঙন কবলিত এলাকার বিষয়ে বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে। তারা ভাঙন প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে গৃহহীন পরিবারগুলোকে চাল দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হোসেন জানান, উজিরপুরের নাড়িকেলী গ্রাম রক্ষায় সন্ধ্যা নদীর তীরে বালুর বস্তা (জিও ব্যাগ) ফেলে ভাঙন প্রতিরোধের জন্য দরপত্রের মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে। শিগগিরই জিও ব্যাগ ফেলানোর কাজ শুরুর আশ্বাস দেন তিনি।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর