মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

রোডমার্চ ঘিরে খুলনায় উজ্জীবিত বিএনপি

আজ ৫ লাখ মানুষ জমায়েতের লক্ষ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় রোডমার্চ কর্মসূচিতে আজ ঝিনাইদহ থেকে মাগুরা-যশোর-নওয়াপাড়া-ফুলতলা হয়ে খুলনা শিববাড়ী মোড়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। কর্মসূচি সফল করতে বিভাগীয় সমন্বয় সভাসহ আশপাশের ১০ জেলা ও মহানগরে প্রস্তুতি সভা করেছে বিএনপি।

খুলনার শিববাড়ী মোড়ে সমাবেশস্থলে ৬টি ট্রাক দিয়ে অস্থায়ী মঞ্চ করা হচ্ছে। শহরের বিভিন্ন মোড়ে তৈরি করা হয়েছে বিশাল তোরণ। শহরজুড়ে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের ছবি সংবলিত ব্যানার-পোস্টার টানানো হয়েছে। কর্মসূচিতে পাঁচ লাখ মানুষের জমায়েতের লক্ষ্য নিয়েছে বিএনপি। প্রধান অতিথি থাকবেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। এ ছাড়া গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু উপস্থিত থাকবেন।

গতকাল খুলনা কেডি ঘোষ রোডে বিএনপির সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান বিএনপি তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল।

সমাবেশে অনুমতি : খুলনা বিভাগীয় রোডমার্চ কর্মসূচিতে শিববাড়ী মোড়ে ১০টি শর্তে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে সিটি করপোরেশন। এককই সঙ্গে মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকেও সমাবেশে মৌখিক অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সমাবেশস্থলের চারপাশে ১৬০টি মাইক থাকবে। সমাবেশ স্থলের জন্য আলাদা ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া হয়েছে। ঝিনাইদহ প্রতিনিধি জানান, বিএনপির খুলনা অভিমুখে রোডমার্চকে ঘিরে কেন্দ্রীয় নেতাদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে ঝিনাইদহ। সর্বত্রই উচ্ছ্বাস আর আড়ম্বর পরিবেশ বিরাজ করছে। বিশেষ করে ঝিনাইদহ ছাড়াও কুষ্টিয়া, মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে আজ মঙ্গলবারের রোডমার্চকে ঘিরে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। কেন্দ্রীয় ও বাইরের নেতা-কর্মীদের বরণ করতে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপি সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। রোডমার্চের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান স্মরণীয় করতে শহরের কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। এদিকে রোডমার্চে যোগ দিতে বিএনপির অঙ্গসংগঠনের সাংগঠনিক কমিটির শীর্ষ নেতারা সোমবার বিকাল থেকেই আসতে শুরু করেছেন। জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এম মজিদ জানান, রোডমার্চের হোস্ট জেলা হিসেবে ঝিনাইদহ শহর এখন কেন্দ্রীয় নেতাদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। বিএনপির শীর্ষ নেতা ছাড়াও রোডমার্চে যোগ দিতে জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৩০ জন, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সম্পাদকসহ ৩০ জন, কৃষক দলের ১০ জন ও মৎস্যজীবী দলের পাঁচজন কেন্দ্রীয় নেতা এসেছেন। অ্যাডভোকেট এম এ মজিদ বলেন, অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্তি, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কেন্দ্রীয় বিএনপির কর্মসূচি হিসেবে এই রোডমার্চের আয়োজন। তিনি বলেন, এই রোডমার্চের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটানো হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর