মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

দুর্যোগ মোকাবিলায় সিসিকের ‘জরুরি পরিচালন কেন্দ্র’

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

দুর্যোগ মোকাবিলায় সিলেট সিটি করপোরেশনে ‘জরুরি পরিচালন কেন্দ্র’ (ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার) উদ্বোধন হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে আরবান রেজিলেন্স প্রকল্পের আওতায় নগর ভবনের ষষ্ঠ তলায় এই সেন্টারটির উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় উদ্ধার কাজ ও সহায়তা প্রদান কার্যক্রমে ‘জরুরি পরিচালন কেন্দ্র’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। যে কোন দুর্যোগে সব ধরনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেও প্রযুক্তিনির্ভর এই কেন্দ্রটি সচল থাকবে। এখান থেকে সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ, উদ্ধারকারী সংস্থাসমূহের সঙ্গে সমন্বয় করা যাবে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ৮ মাত্রার ভূমিকম্প হলে সিলেট নগরের বেশির ভাগ ভবন ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের। এমন পরিস্থিতি তৈরি হলেও সিলেট নগর ভবনে স্থাপিত ‘জরুরি পরিচালন কেন্দ্র’টি সচল থাকবে। দুর্যোগকালীন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার নাগরিকদের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ স্থাপনের জন্য এই কেন্দ্রটি কাজ করবে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ সহায়তা ও উদ্ধার কাজ পরিচালনায় সেবা প্রদানকারীদের সঙ্গে জরুরি যোগাযোগ স্থাপন করা যাবে। এই কেন্দ্রে স্থাপিত ইমার্জেন্সি কল সেন্টার থেকে একসঙ্গে ৩০টি কল গ্রহণ করা যাবে। সেন্টারটিতে স্থাপিত ডাটাবেসে সিলেট সিটি করপোরেশনের সম্পদ ও সেবা সংক্রান্ত সব তথ্য সংরক্ষণ করা হবে। সিসিকের সব বিভাগ ও শাখার সেবা ও উন্নয়ন সংক্রান্ত তথ্য ভান্ডার করা হয়েছে এই প্রকল্পে।

এ প্রকল্পে ‘জিআইএস’ প্রযুক্তির মাধ্যমে সিসিকের ২৭ ওয়ার্ডের ম্যাপ ও তথ্য সংরক্ষণ, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন এবং জিআইএস পোর্টাল তৈরি করা হয়েছে। যার মাধ্যমে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন যে কোনো দুর্যোগ এলাকা থেকে সিসিকের নির্ধারিত কর্মী বা স্বেচ্ছাসেবকরা পোর্টালে সরাসরি রিপোর্ট করতে পারবেন। দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সেবা সংক্রান্ত লজিস্টিক সাপোর্ট সম্পর্কিত তথ্য জানা যাবে এই পোর্টালে।

দুর্যোগকবলিত এলাকাসমূহে যদি সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়, তারপরও স্যাটেলাইট সংযোগের মাধ্যমে জরুরি তথ্য সেবা প্রদান করা যাবে। এছাড়া স্যাটেলাইটে পুরো এলাকার ভিডিও চিত্র দেখা যাবে। স্যাটেলাইট চিত্র দেখে উদ্ধারকারীদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা যাবে এখান থেকে।

এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্যাটেলাইট ফোনের মাধ্যমে দুর্যোগে সহায়তার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে বা অন্য এলাকার সাহায্যকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা যাবে। ‘ডিএমআর’ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সিসিকের নিয়মিত সেবা কাজের অগ্রগতি ট্রেকিং করা যাবে। দুর্যোগকালীন মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ হয়ে গেলেও সিসিকের ২০ কিলোমিটার এলাকায় ‘ডিএমআর নেটওয়ার্ক’ সচল থাকবে বলেও জানান সংশ্লিষ্টরা।

 

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর