শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

সবজির সরবরাহ থাকলেও দাম দ্বিগুণ, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

সবজির সরবরাহ থাকলেও দাম দ্বিগুণ, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ

টানা তিন দিনের বৃষ্টির কারণে বগুড়ায় সব ধরনের সবজির দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। পাইকারি বাজারে প্রচুর সরবরাহ থাকলেও খুচরা বাজারে দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে এসব সবজি। হঠাৎ সবজির দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। গতকাল সকালে বগুড়ার রাজাবাজার, ফতেহ আলী বাজার, কলোনি বাজার, খান্দার বাজার ও গোদারপাড়া বাজার ঘুরে দেখা যায় সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরও সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। ফলে কিছুদিন ধরে যে সবজির দাম ক্রেতাদের স্বস্তি দিচ্ছিল, তা হঠাৎ করে অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই সঙ্গে পিঁয়াজ এবং কাঁচামরিচের চড়া দাম অব্যাহত রয়েছে। বাজারে কোনো সবজির কমতি নেই। লাউ, মিষ্টি কুমড়া, ফুলকপি, বাঁধাকপি, দেশি পিঁয়াজ, ভারতীয় পিঁয়াজ, বেগুন, মুলা, লালশাক, পালংশাক, পটোল, ঢেড়স, বরবটি, ঝিঙা, পেঁপে, আলু, করলা, কচু, শসাসহ অন্যান্য সবজি প্রচুর রয়েছে।

শীতের প্রধান সবজি ফুলকপি ও বাঁধাকপি বগুড়ার বিভিন্ন মাঠ থেকে কৃষকরা বাজারে তুলছেন। এসব ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৪০ টাকা আর বাঁধাকপি ৬০ টাকা কেজি দরে। এদিকে সরকারি নির্ধারিত ৩৬ টাকা মূল্যে আলু বিক্রি হওয়ার কথা থাকলেও সেটি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা কেজি। দেশি আলু (পাকড়ি) বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা প্রতি কেজি। কোনো কোনো বাজারে আলু ৬০ টাকা কেজি দরেও বিক্রি করতে দেখা গেছে।

দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে মুলা, গাঁজর, বেগুন, কচু, কাঁচামরিচ, পিঁয়াজ, করলা, ঝিঙা, বরবটি, ঢেড়স। ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া মুলার দাম বেড়ে হয়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। বেগুনের দাম এক লাফে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি; যা গত সপ্তাহে ছিল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি।

করলার দাম ৬০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৮০ টাকা। মুখিকচু ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও দাম বেড়ে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।  বরবটির দাম বেড়ে হয়েছে ৮০ টাকা প্রতি কেজি। ঢেড়স ৪০ টাকা থেকে প্রতি কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঝিঙা ৬০ টাকা, গাঁজর ১৪০ টাকা, লাউ ৪০ টাকা, পটোল ৪০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা কেজিতে বিক্রি করতে দেখা যায়। সরকারি নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে না পিঁয়াজ। প্রতি কেজি দেশি পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা। আর ভারতীয় পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজিতে। এ ছাড়া আদা-রসুনের দামও দ্বিগুণ রয়েছে। গত সপ্তাহের চেয়ে চলতি সপ্তাহে প্রতিটি সবজির দাম ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে।

সবজির এমন দামে ক্রেতাদের মধ্যে অস্বস্তি বিরাজ করছে। কলোনি বাজারে সবজি কিনতে আসা শ্রী সুচন্দন সরকার জানান, সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে এসে দেখি সবকিছুর দাম বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। সবজির দাম আর কমবে কি না এটা জানা নেই। আমরা গরিব মানুষ। দাম বেশি হওয়ায় অল্প পরিমাণে সব সবজি কিনেছি। এতেই আমার সপ্তাহের বাজেটের টাকা শেষ। মাছ-মাংসের হাটের দিকে তো যাওয়া আমাদের মতো গরিব মানুষের এখন দুঃস্বপ্ন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর