মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভিআইপি মর্যাদাসহ আট দফা দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৯৭১ সালে বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিসহ আট দফা দাবি জানিয়েছে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ’৭১। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দাবিগুলো জানান সংগঠনটির নেতারা। তাদের দাবিগুলো হলো, বাংলাদেশের মাটিতে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের ঘাতক দোসরদের দ্বারা সংঘটিত নিষ্ঠুরতম গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য কুশীলবদের চিহ্নিত করতে অবিলম্বে একটি জাতীয় তদন্ত কমিশন গঠন করা এবং তদন্তের ফলাফল শ্বেতপত্র আকারে প্রকাশ করা। মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে যুগ যুগ ধরে নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে বাংলাদেশের সব অঞ্চল এবং প্রধান প্রধান যুদ্ধক্ষেত্র ও বধ্যভূমিতে ‘মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্তম্ভ’ নির্মাণ। সেই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের প্রধান বন্ধু রাষ্ট্র ভারতীয় মিত্র বাহিনীর যেসব সৈনিক আমাদের স্বাধীনতার রণাঙ্গনে জীবন দিয়েছেন, তাদের আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান জানাতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ। বাংলাদেশের সব অভ্যন্তরীণ সংকটের সমাধান অবশ্যই দেশের ভিতর থেকে হতে হবে, বাইরের হস্তক্ষেপে নয়। বাংলাদেশের সংবিধানে ‘মহান মুক্তিযুদ্ধ’ ও ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ শব্দগুলো সংযোজন করা। পাশাপাশি জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ‘ভিআইপি’ মর্যাদা নিশ্চিত করা। দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের নিকট পরিবারের সদস্যদের জন্য সরকারি খরচে অগ্রাধিকারভিত্তিক চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য মাসিক সম্মানী ভাতার অঙ্ক প্রথম শ্রেণির সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নির্ধারণ করা। জাতির জনকের হাতে তৈরি ১৯৭২ সালের মূল সংবিধান পুনরুদ্ধার এবং দেশের গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক অগ্রযাত্রার স্বার্থে সংবিধানের মূলনীতিবিরোধী উগ্র সাম্প্রদায়িক ও ধর্মান্ধ দল নিষিদ্ধ করা। সেই সঙ্গে দেশের সব অঞ্চলে বাঙালি সংস্কৃতি চর্চার রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা করা এবং সব পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের হাতে মহান মুক্তিযুদ্ধের অবিকৃত ইতিহাস সরবরাহ করা। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে নতুন প্রজন্মের জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে ঢাকাসহ বড় শহরের নিকটবর্তী স্থানে স্থায়ী মুক্তিযোদ্ধা সমাধিক্ষেত্র নির্মাণ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের মহাসচিব হারুন হাবীব এ দাবিগুলো তুলে ধরেন। সংগঠনের কার্যনির্বাহী সভাপতি মো. নূরুল আলমের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ম হামিদ, মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আলী শিকদার, সাবেক আইজিপি কে এম শহিদুল হক, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ পাটোয়ারী, আবদুল মাবুদ ও শাহজাহান মৃধা বেনু।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর