শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

বরিশালে বাড়ছে কৃষি জমি বেড়েছে খাদ্য উৎপাদনও

রাহাত খান, বরিশাল

বরিশালে বাড়ছে কৃষি জমি বেড়েছে খাদ্য উৎপাদনও

নগরায়ণ ও নদীভাঙনে আবাদি জমি কমলেও নদীতে পলি পড়ে চর জেগে বরিশালে কৃষি জমি বাড়ছে। আট বছরে বরিশাল বিভাগে আবাদি জমি ৩ হাজার ৩২৩ হেক্টর বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে খাদ্য উৎপাদনও। এখন আগের চেয়ে ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৯৮৮ টন খাদ্য উদ্বৃত থাকছে। উচ্চ ফলনশীলজাত ফসল এবং কৃষিজমি বেড়ে যাওয়ায় বেড়েছে খাদ্য উৎপাদন। বন্যার বয়ে আনা পলি জমে ফসলি জমি বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

উপকূলীয় বরিশাল বিভাগ প্রকৃতিগতভাবে নদী বেষ্টিত। নদী রক্ষা কমিশনের তথ্যানুযায়ী বরিশাল বিভাগে ছোট-বড় নদীর সংখ্যা ৯৯টি। খাল আছে অসংখ্য। বেশির ভাগ নদী বছরের বিভিন্ন সময়ে, বিশেষ করে বর্ষাকালে ভাঙনের কবলে পড়ে। এতে ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নগরায়ণের কারণেও ফসলি জমি কমছে। নতুন নতুন ঘরবাড়ি, শিল্প, কলকারখানা হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই কমছে ফসলি জমি। কী পরিমাণ ফসলি জমি কমেছে তার কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই সরকারি কোনো দফতরে।

তবে আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ বলছে, বরিশাল বিভাগে আট বছরে আবাদি জমি ৩ হাজার ৩২৩ হেক্টর বেড়েছে। এর মধ্যে পিরোজপুর ও বরগুনা জেলায় আবাদি জমির পরিমাণ বেড়েছে। কমেছে বরিশাল, ঝালকাঠি ও পটুয়াখালী জেলায়। ভোলা জেলায় কৃষি জমি অক্ষুণœœ আছে। অন্যদিকে খাদ্য উৎপাদন ও উদ্বৃত খাদ্যের পরিমাণ পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা ও ভোলা জেলায় বেড়েছে। কমেছে বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলায়।

তাদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে বরিশাল বিভাগে আবাদি জমি ছিল ৮ লাখ ২১ হাজার ৫৪৮ হেক্টর। তখন সময় খাদ্য উদ্বৃত ছিল ৬ লাখ ৫৭ হাজার ৮২৫ টন। ২০২১-২২ অর্থ বছরে আবাদি জমি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ২৪ হাজার ৮৭১ হেক্টর। ওই বছর খাদ্য উদ্বৃত ছিল ১০ লাখ ১৬ হাজার ৮১৩ টন। কৃষিতে নতুন নতুন জাত ও প্রযুক্ত উদ্ভাবন এবং উচ্চ ফলনশীল জাত আবাদের কারণে খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে বলে জানিয়েছেন আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. শওকত ওসমান।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. জামাল উদ্দিনের মতে, প্রাকৃতিকভাবে প্রতি বছর একদিকে নদীভাঙন হচ্ছে। অন্যদিকে কোথাও না কোথাও চরের সৃষ্টি হচ্ছে। এভাবে নতুন চর জেগে ওঠায় ফসলি জমির পরিমাণ বৃদ্ধির বিষয়টি স্বাভাবিক বলে তিনি জানান। নদীভাঙনে কী পরিমাণ জমি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে- তার কোনো তথ্য নেই সংশ্লিষ্ট কোনো দফতরে। তবে নগরায়ণ ও শিল্পায়নের কারণে যাতে কৃষি জমির ক্ষতি না হয় সেদিকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা জানিয়েছেন বরিশালের জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর