বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

রামেক হাসপাতালে কর্মচারী অসন্তোষ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্মচারীদের একাংশের অসন্তোষ কাটেনি। স্থায়ী কর্মচারীদের দাবি পূরণ হওয়ায় তাদের অসন্তোষ কাটলেও অস্থায়ী কর্মচারীদের ক্ষোভ কাটেনি। ফলে সেবার মান কমছে বলেও অভিযোগ   আছে। তবে রামেক হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফ এম শামীম আহমদের দাবি, স্থায়ী কর্মচারীদের মধ্যে যে রেষারেষি, দলাদলি, কর্তৃত্ব ফলানোর বিষয়টি ছিল সেটি নিরসন হয়েছে। কিন্তু অস্থায়ী কর্মচারীদের মধ্যে এখনো অনিয়ম ও ভিতরে কোন্দল চলছে। যা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা চলছে।

জানা গেছে, জুনিয়র মাস্টার রাসেল আলীকে কর্মচারীদের পরিচালনার জন্য দায়িত্ব দেওয়ায় সিনিয়র কর্মচারীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দেয়। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ওয়ার্ড মাস্টার রাসেল আলী একের পর এক অনিয়ম, দুর্নীতি, নিয়োগ বাণিজ্য করেছেন। রাসেল নিজের ইচ্ছামতো কর্মচারীদের যেখানে খুশি সেখানে ডিউটি দিয়েছেন। নিজের ইচ্ছামতো দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারীদের বাদ দিয়ে টাকার বিনিময়ে নতুন নিয়োগ দিয়েছেন। এসব কার্যকলাপে পুরো হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, স্থায়ী বা অস্থায়ী কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। অভিযোগ আছে, ওয়ার্ড মাস্টার রাসেল ছোটখাট কারণ দেখিয়ে দৈনিক মজুরিভিক্তিক কর্মচারী বাদ দিয়ে টাকার বিনিময়ে নতুন কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছেন। আউট সোর্সিংয়ে অনেক লোকজনদের তিনি টাকার বিনিময়ে চাকরি দিয়েছেন। অনেককেই চাকরি দেব বলে টাকা নিয়ে ফেরত দেয়নি।

এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি তার দুটি ইনক্রিমেন্ট বাতিলসহ তাকে রামেক হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টারের দায়িত্ব থেকে বদলির সুপারিশ করেন। ওয়ার্ড মাস্টার রাসেল আলী জানান, এসব নিয়ে তার কোনো মন্তব্য নেই। কিছু জানতে হলে পরিচালকের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।

রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফ এম শামীম আহমদ বলেন, ‘আমি রামেক হাসপাতালের দায়িত্ব নেওয়ার পর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি আগে দেখেছি। বর্তমান রামেক হাসপাতাল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিক থেকে কমতি নেই। কর্মচারীদের নিয়ে বসেছি। কর্মচারীদের সমস্যা নিরসনের চেষ্টা করছি। কর্মচারীদের বড় সমস্যা যেটা ছিল সেটা সমাধান করা হয়েছে। বাকিটাও দ্রুত সমাধান হবে আশা করি।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর