শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ট্যুরিস্টিক কর্মকান্ড বাড়িয়ে বিদেশি পর্যটক আনতে হবে : স্পিকার

নিজস্ব প্রতিবেদক

ট্যুরিস্টিক কর্মকান্ড বাড়িয়ে বিদেশি পর্যটক আনতে হবে : স্পিকার

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে পর্যটক আকর্ষণ করার মতো তেমন কোনো কার্যক্রম নেই। বিশ্বের অন্যান্য দেশের সি-বিচে স্কুবা ডাইভিংসহ নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। এখানেও ট্যুরিস্টিক কর্মকান্ড বাড়াতে পারলে বিদেশি পর্যটকরা আগ্রহী হবে। বাংলাদেশ অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি। আমাদের ট্যুরিজমের সব ঐতিহ্য রয়েছে। এটাকে অবশ্যই কাজে লাগাতে হবে। বিদেশি পর্যটকরা আমাদের দেশে এসে যে অর্থ ব্যয় করবে, সেটি জাতীয় অর্থনীতিতে যুক্ত হবে। গতকাল পর্যটন দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হওয়া ‘বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যাল’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। স্পিকার বলেন, আমরা সেন্টমার্টিনকে প্লাস্টিকমুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছি। আগামীতে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতকেও প্লাস্টিক ও আবর্জনামুক্ত করার উদ্যোগ নেব। আশা করি, সরকারের সব পরিকল্পনা যথাযথ বাস্তবায়ন করা হবে। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে পর্যটনের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে।

বিদেশি পর্যটক আনতে নানা ধরনের পর্যটকবান্ধব কর্মকান্ডের পাশাপাশি মানসম্মত হোটেলের সংখ্যা বাড়াতে হবে। ঢাকা সিটিতে পর্যটকদের জন্য বাস ট্যুরের আয়োজন করা যেতে পারে। এতে বিদেশি পর্যটকরা একটি ট্যুরের মাধ্যমে ঢাকা সিটির ঐতিহ্যগুলো দেখতে পারবে। পুরান ঢাকার জন্য একটি রুট, নতুন ঢাকার জন্য একটি রুট, নদীপথেও ট্যুরের আয়োজন করা যেতে পারে। আমাদের দেশে প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য অন্য দেশের বৈচিত্র্য থেকে অনন্য। আমাদের দেশে যে ছয় ঋতুর বিবর্তন ঘটে, সেটিও অন্য দেশের তুলনায় আকর্ষণীয়। সবকিছু মিলিয়ে বাংলাদেশ পর্যটনের অনন্য গন্তব্য। পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রেখে যথাযথ ব্যবস্থার মাধ্যমে আমাদের পর্যটনকে এগিয়ে নিতে হবে। দেশের সৌন্দর্য তুলে ধরতে হবে।

‘পর্যটনে পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে মুজিব’স বাংলাদেশ প্রচারণার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যাল নামে পর্যটন মেলা শুরু হয়েছে গতকাল। চলবে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ড (বিটিবি)। মেলায় এয়ারলাইনস, হোটেল, রিসোর্ট, অ্যামিউজমেন্ট পার্ক, ট্যুরিস্ট-ভেসেল, ট্রাভেল এজেন্ট ও ট্যুর অপারেটর প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে। এছাড়া অংশগ্রহণ করেছে বিভিন্ন জেলার পর্যটন পণ্য ও সেবা প্রদানকারীরা। সারা দেশের ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন আঞ্চলিক খাবারের পসরা বসেছে বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যালে। পর্যটনের বিভিন্ন পণ্য ও সেবার ওপর মেলায় রয়েছে বিশেষ ছাড়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লি., ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর