বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত চরম মানবতাবিরোধী ও অবিচারের চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ। যুক্তরাষ্ট্রে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যেরই বাস্তবায়ন এটি। খালেদা জিয়ার জীবন, বেঁচে থাকা এবং উন্নত চিকিৎসায় সুস্থ হওয়া সবকিছু প্রধানমন্ত্রী আর আইনমন্ত্রীর তামাশার হিংস্র বৃত্তে আটকে গেছে। তাঁকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিতেই চলছে সরকারের বহুমাত্রিক নিষ্ঠুর আয়োজন। এটি তাদের পূর্ব পরিকল্পিত এবং একটি গভীর মাস্টার প্ল্যানের অংশ। এ অন্যায় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রধান শক্তি জনগণ হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না। জনগণ পথে পথে অবরোধ করবে। গতকাল দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে আটকে রেখে উন্নত চিকিৎসায় বাধা দেওয়া হচ্ছে। আইন মন্ত্রণালয়ের বেআইনি সিদ্ধান্ত তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে বাধা দেওয়ারই অংশ। জনগণ এ সিদ্ধান্ত ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। রিজভী বলেন, মার্কিন ভিসানীতি মূলত প্রধানমন্ত্রীকে টেনশনে ফেলে দিয়েছে। নির্বিঘ্নে দুঃশাসন চালিয়ে যাওয়ার মধ্যে এই ঘোষণা বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো।