সোমবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা
আবাসন সংকটে শিক্ষার্থীরা

বি এম কলেজের হলে ঝুঁকি নিয়ে ছাত্রদের বসবাস

বরিশাল

রাহাত খান, বরিশাল

বি এম কলেজের হলে ঝুঁকি নিয়ে ছাত্রদের বসবাস

বরিশাল বি এম কলেজের মহাত্মা অশ্বিনীকুমার হলের বেহাল দশা। ছাদের সিলিং এবং পলেস্তারা খসে পড়ে প্রায়ই আহত হন আবাসিক শিক্ষার্থীরা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

বরিশাল বি এম কলেজের মহাত্মা অশ্বিনী কুমার হলের বেহাল দশা। জরাজীর্ণ ভবনের ছাদের সিলিং খসে পড়ে প্রায়ই আহত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হলে থাকতে হচ্ছে দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের। ছাদ ভেঙে পড়ার দুশ্চিন্তা মুক্ত থেকে পড়ালেখার জন্য অবিলম্বে হলের সংস্কার কিংবা নতুন ভবন নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন তারা। ঝুঁকিপূর্ণ হলেও ছাত্রদের হল থেকে নামিয়ে দিলে তারা বেকায়দায় পড়বে বলে জানিয়েছেন হল সুপার। হলের দুরবস্থার কথা জানিয়ে প্রতিকার চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অধ্যক্ষ। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছেন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী। ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে জানা যায়, গত শনিবার রাত ৩টা ২০ মিনিটে বি এম কলেজ ক্যাম্পাসের মহাত্মা অশ্বিনী কুমার ছাত্রাবাসের ‘এ’ ব্লকের ২০৮ নম্বর কক্ষের ছাদের সিলিংয়ের বিশাল অংশ খসে পড়ে। এতে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে গেছেন কলেজের গণিত তৃতীয় বিভাগের রেজাউল করিম, বাংলা বিভাগের মো. ঈমন, মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের মো. মমিনুল ও অর্থনীতি বিভাগের মাছুম বিল্লাহ। এদের মধ্যে রেজাউল ও মমিনুল আহত হয়েছেন। আহত রেজাউল বলেন, ছাত্রাবাসের প্রতিটি কক্ষ ঝুঁকিপূর্ণ। প্রতি মুহূর্তে আতঙ্ক নিয়ে হলে বসবাস করতে হয় আবাসিক শিক্ষার্থীদের। ছাদ ভেঙে পড়ার দুশ্চিন্তা নিয়ে মনোযোগ দিয়ে পড়ালেখা করা যায় না।

আরেক আহত শিক্ষার্থী মো. মমিনুল বলেন, অশ্বিনী কুমার ছাত্রাবাসের তিনটি ভবনের মধ্যে দুটি অত্যন্ত নাজুক (টেম্পার নেই)। হল সংস্কারের জন্য বহুবার কর্তৃপক্ষকে তাগাদা দিয়েছেন তারা। কলেজ প্রশাসন তাদের দাবির বিষয়ে আন্তরিক নয়। তারা অনতিবিলম্বে হল সংস্কার, নয় তো নতুন ভবন নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন। ১৯৬৮ সালে নির্মিত ছাত্রাবাস ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ বলে স্বীকার করেছেন হল সুপার সহযোগী অধ্যাপক এম এস আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, হলটির ‘বি’ ব্লক আগেই পরিত্যক্ত হয়েছে। এখন ‘এ’ ব্লক পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হলে দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের বাইরে থাকতে কস্ট হবে। তিনিও পুরনো ভবনের দ্রুত সংস্কার, নতুবা ছাত্রাবাসের নতুন ভবন নির্মাণের দাবি জানান। কলেজ সংস্কারের দায়িত্বে থাকা শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগকে জানিয়েই দায়িত্ব শেষ করেছেন বি এম কলেজের অধ্যক্ষ। তবে মহাত্মা অশ্বিনী কুমার ছাত্রাবাসের জন্য নতুন ভবন নির্মাণ প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া। এ বিষয়ে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, বি এম কলেজ কর্তৃপক্ষের চিঠি পেয়ে প্রকৌশলীরা হল পরিদর্শন করেছেন। যেটা সংস্কার যোগ্য সেটা সংস্কার, নতুবা পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হবে। হলের জন্য নতুন ভবনের অনুমতি পেলে তা করা হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর