সোমবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

নির্বাচনের আগেই অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান

-ডিএমপি কমিশনার

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে বিশেষ অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান। গতকাল রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) সদস্যদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন। ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট ‘উগ্রবাদ নিয়ন্ত্রণে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক এই কর্মশালার আয়োজন করে। ক্র্যাব সভাপতি মির্জা মেহেদী তমালের সভাপতিত্বে এই কর্মশালায় শতাধিক অপরাধবিষয়ক বিটের সাংবাদিক অংশ নেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার পুলিশের রুটিন ওয়ার্ক। পুলিশের সব ইউনিট অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে সবসময়ই তৎপর থাকে। নির্বাচনের আগে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার দেখা দিলে বিশেষ অভিযান চালানো হবে। নির্বাচনকে সামনে রেখে উগ্রবাদীদের বিভিন্ন গ্রুপ সক্রিয় হয়ে উঠলে তাদের প্রতিহত করার মতো সক্ষমতা পুলিশের রয়েছে। প্রাচীনকাল থেকেই বিভিন্ন গোষ্ঠী ও সমাজে ধর্মীয় উগ্রবাদ দেখা যায়। উগ্রবাদ বা জঙ্গিবাদ নির্মূল সম্ভব নয় বরং নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। উগ্রবাদ নিয়ন্ত্রণে সিটিটিসি সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে। আমরা জঙ্গিবাদ বিষয়ে এখন অনেকখানি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারি।

ডিএমপি প্রধান আরও বলেন, অতীতে দেখা গেছে ভারতীয় উপমহাদেশে ঈদ, পূজা-পার্বণ, বড়দিন, বৌদ্ধ পূর্ণিমা সব ধর্মের মানুষ মিলেমিশে করত। ১৯৪৭ সালে ধর্মীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে দেশ ভাগ হলেও মানুষের ধর্মীয় সম্প্রীতিতে কোনো প্রভাব পড়েনি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও সব ধর্মের মানুষকে নিয়ে বাঙালি জাতীয়তাবাদ গড়ে তোলেন। এই বাঙালি জাতীয়তাবাদের ওপর ভিত্তি করে একাত্তরে দেশ স্বাধীন হয়েছে, বাহাত্তরে সংবিধান হয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন সময় স্বার্থান্বেষী মহল তাদের স্বার্থে ধর্মকে ব্যবহার করেছে এবং ধর্মীয় উগ্রবাদ উসকে দিয়েছে।

কর্মশালায় সিটিটিসির প্রধান মো. আসাদুজ্জামান বলেন, উগ্রবাদী তৎপরতা দেশে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে নিরাপদ দেশ। গত তিন বছরে দেশে কোনো জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেনি। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনেও উগ্রবাদী তৎপরতা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ অনেকদূর এগিয়েছে।

কর্মশালায় ক্র্যাব সভাপতি মির্জা মেহেদী তমাল বলেন, উগ্রবাদ প্রতিরোধে গণমাধ্যমের যেমন জোরালো ভূমিকা প্রয়োজন, তেমনি গণমাধ্যমকে ব্যবহার করে কোনো অপশক্তি যাতে উগ্রবাদ ছড়াতে না পারে, সে বিষয়েও সতর্ক থাকতে হবে।

কর্মশালায় আরও বক্তব্যে রাখেন সিটিটিসির যুগ্ম কমিশনার ড. মো. এ এইচ এম কামরুজ্জামান, সিটিটিসির উপকমিশনার মো. জসীম উদ্দিন ও মুহাম্মদ হাবীবুন নবী আনিছুর রহমান, সাংবাদিক জুলফিকার মানিক, ক্র্যাব সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক ইসমাইল হোসেন ইমু প্রমুখ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর