আট বছর পর ১৬ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সিনেটের শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রাজনীতি সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ইতোমধ্যে আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের একাংশ উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলমের বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগে স্বেচ্ছাচারিতা ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তুলেছেন। পাশাপাশি ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের শিক্ষক পরিষদ’ নামে বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের বিপরীতে পাল্টা সংগঠন গঠন করেন। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম ও বামপন্থি শিক্ষকদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ‘শিক্ষক ঐক্য পরিষদ’ নামে সিনেট নির্বাচনে প্যানেল ঘোষণা করেছেন। গতকাল বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক লাউঞ্জে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে এ প্যানেল ঘোষণা করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা ব্যক্তি স্বার্থে নয় বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কল্যাণে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন বলে জানান। বিশ্ববিদ্যালয়কে গবেষণামুখী করতে বার্ষিক গবেষণা ফান্ড গঠন ও দল-মত নির্বিশেষে সব শিক্ষার্থীর সহাবস্থান নিশ্চিত করাসহ ১৩ দফা নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের শিক্ষক পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক মোতাহার হোসেন, সদস্য অধ্যাপক সোহেল আহমেদ, জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মদ কামরুল আহছান, অধ্যাপক শামছুল আলম, অধ্যাপক কামরুল আহসান, অধ্যাপক সোহেল রানা, অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার, অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক আবদুর রব, অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক আমিনুর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক মাসুদা পারভীন, সহযোগী অধ্যাপক আমিনা ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক রেজাউল রকিব, সহযোগী অধ্যাপক রায়হান শরীফ প্রমুখ।

এদিকে সিনেট নির্বাচনকে ঘিরে ২ অক্টোবর আওয়ামীপন্থিদের একাংশের নবগঠিত ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের শিক্ষক পরিষদ’কে বিভ্রান্ত আখ্যা দিয়ে ৩৩ সদস্যের প্যানেল ঘোষণা করেছে বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ।

প্রসঙ্গত, জাবিতে সর্বশেষ ২০১৫ সালের ১১ অক্টোবর সিনেটের শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।