সোমবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা
সংক্ষিপ্ত

আমন মৌসুমে ৭ লাখ টন ধান-চাল কিনবে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার জানিয়েছেন, চলতি বছর আমন মৌসুমে ৭ লাখ মেট্রিক টন ধান-চাল কিনবে সরকার। এর মধ্যে ৪ লাখ টন সেদ্ধ চাল ও ১ লাখ টন আতপ চাল এবং ২ লাখ টন ধান কেনা হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী। গতকাল সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলন কক্ষে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির (এফপিএমসি) সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তারসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, এবার প্রতি কেজি চাল ৪৪ টাকা দরে, আতপ চাল ৪৩ টাকা দরে আর ৩০ টাকা দরে ধান কেনা হবে। গত বছর আমন মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ২৮ টাকা দরে ধান ও ৪২ টাকা দরে প্রতি কেজি চাল কিনেছিল সরকার। মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে সাড়ে ৪ লাখ টন গম পাইপলাইনে রয়েছে। আমাদের মজুদ ও বিতরণ ব্যবস্থা ভালো। ব্যবসায়ীদের সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে। সবকিছু ভালোভাবেই চলছে। মন্ত্রী বলেন, আমরা সাধারণত নভেম্বরে চাল কিনে থাকি। তবে এবার কবে নাগাদ কেনা হবে সে বিষয়ে মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকেই তারিখ নির্ধারণ করা হবে।

কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক বলেন, বাজারে অন্য পণ্যের দাম কিছুটা বাড়লেও চালের দাম বাড়েনি। আপৎকালীন খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং চালের দাম গরিব মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা আমাদের লক্ষ্য। মরা কার্তিকেও বিদেশ থেকে চাল আমদানি করতে হয়নি; বাজারও নিম্নমুখী। কৃষিমন্ত্রী বলেন, পিঁয়াজ ও আলুর দাম নিয়ন্ত্রণ করতে না পারাটা আমাদের দুর্বল দিক। এ নিয়ে সমালোচনা করেন, আমরা মেনে নেব। কারণ, এটা আমাদের দুর্বল দিক। কিন্তু আমাদের সবল দিকগুলোও মিডিয়াতে তুলে ধরুন। আলু ও পিঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সরকার হাল ছেড়ে দিয়েছে কি না জানতে চাইলে কৃষিমন্ত্রী বলেন, মোটেই হাল ছেড়ে দিইনি। আমরা এখনো যথেষ্ট তৎপর রয়েছি। উৎপাদনের পার্টটা কৃষি মন্ত্রণালয়ের। বাজার মনিটর করার দায়িত্ব বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের। তারপরও আমি দায়িত্ব এড়াতে পারি না। পিঁয়াজ সংরক্ষণে নতুন প্রযুক্তি আনা হয়েছে। নতুন প্রযুক্তি অনুসরণ করে পিঁয়াজ রাখলে ৫ শতাংশও পচবে না। এ প্রযুক্তি যদি আমরা অনুসরণ করতে পারি আগামী দুই বছরের মধ্যে বিদেশ থেকে আর কোনো পিঁয়াজ আমদানি করতে হবে না।  আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারার কারণ ব্যাখ্যা করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমরা চেষ্টা করছি। কোল্ড স্টোরেজের মালিকরা খুবই অসহযোগিতা করছেন। তারা ঠিকমতো সরবরাহ করছেন না, এটা বড় অন্তরায়। তা সত্ত্বেও আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর