শিরোনাম
সোমবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

নির্বাচনকালীন সরকার ছোট করার বাধ্যবাধকতা নেই : তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বাচনকালীন সরকার ছোট করার বাধ্যবাধকতা নেই : তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নির্বাচনকালীন সরকার ছোট করার সাংবিধানিক কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভা ছোট হবে কি না, সেটির এখতিয়ার প্রধানমন্ত্রীর।  প্রধানমন্ত্রী যে কোনো সিদ্ধান্তই নিতে পারেন। গত ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে কোনো নির্বাচনকালীন সরকার ছোট করা হয়নি। যে সরকার ছিল সেই সরকারই দায়িত্ব পালন করেছে। গতকাল সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ১৯৭১ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার প্রকাশিত ‘পূর্ব পাকিস্তান সংকট শ্বেতপত্র’ পুনর্মুদ্রণের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যে প্রমাণ হয়, এতদিন পরে তাদের উপলব্ধি হয়েছে যে, কোলে করে কেউ ক্ষমতায় বসাবে না এবং যারাই নির্বাচনে বাধা দেবে তাদের সবার ক্ষেত্রে ভিসানীতি প্রযোজ্য হবে, সেটিও মির্জা ফখরুল সাহেব বা বিএনপি বুঝতে পেরে কর্মীদের বলেছেন, আন্দোলন করতে হবে। তাদের এই উপলব্ধি ভালো।’

সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেবদের আগের উৎফুল্ল ভাব এখন আস্তে আস্তে ফ্যাকাশে হয়ে যাচ্ছে। কারণ তারা বুঝতে পারছে যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে যাবে। অনেক রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নেবে। বিএনপিরও অনেকেই অংশগ্রহণ করবে, তৃণমূল বিএনপিতে তো ইতোমধ্যেই কয়েকজন বিএনপি নেতা যোগ দিয়েছেন। সুতরাং তাদের অনুরোধ জানাব নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার পথ পরিহার করে নির্বাচনে আসার জন্য, বাস্তবতা বিবর্জিত না হয়ে বাস্তবতা মেনে নিয়ে নির্বাচনের পথে হাঁটার জন্যই তাদের প্রতি অনুরোধ জানাব। এ সময় তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে কোন দল অংশ নিল সেটির চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ জনগণ অংশগ্রহণ করল কি না। সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলোতে বিএনপি অংশ নেয়নি কিন্তু ৫০ শতাংশের বেশি মানুষ সেখানে ভোট দিয়েছে এবং নির্বাচন জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়েছে। আগামী নির্বাচনে যদি বিএনপি আসে তাদের আমরা স্বাগত জানাই। আমরা চাই তারা অংশগ্রহণ করুক। কিন্তু না এলেও জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ থাকবে। নির্বাচন অবশ্যই গ্রহণযোগ্য হবে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল শনিবার দেশে এসেছে, এ সংক্রান্ত প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, এটি তো ভালো। কারণ বিদেশিদের আগ্রহ আছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের বহুমাত্রিক সম্পর্ক উত্তরোত্তর বাড়ছে। জঙ্গি এবং সন্ত্রাসবাদ দমনে, আমাদের উন্নয়নে, সব জায়গায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সহযোগিতার সম্পর্ক আছে। তাদের যে প্রতিনিধি দল এসেছে, আমি মনে করি সেটি ভালো।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর