শিরোনাম
বুধবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

বৃষ্টি নেই তবু মৃত্যু-আক্রান্ত চলছেই

বাড়ছে মশা ও ডেঙ্গু ঝুঁকি

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

বৃষ্টি নেই তবু মৃত্যু-আক্রান্ত চলছেই

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নগরে নিয়মিত ওষুধ ছিটাচ্ছে বলে দাবি করছে। গত এক সপ্তাহ ধরে নেই বৃষ্টি। বর্ষা মৌসুম শেষ হলো প্রায় দুই মাস। তবুও নিয়মিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে মানুষ। মৌসুম শেষ হলেও থামছে না ডেঙ্গু আক্রান্ত। সর্বশেষ গত সোমবার ৯ বছরের এক শিশু ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যায় এবং গতকাল নতুন করে আক্রান্ত হয় ৯২ জন। অভিযোগ আছে, ডেঙ্গু পুরোদমে আক্রান্ত করলেও চসিকের পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম এবং মশক নিধন কর্মসূচি অত্যন্ত অপ্রতুল। নগরের অধিকাংশ নালা-নর্দমা ও ড্রেন বর্জ্যে ভরপুর। আর মশক নিধনে নিয়মিত স্প্রে করার কথা বলা হলেও তা নামমাত্র। অধিকাংশ ওয়ার্ডেই দেখা মেলে না স্প্রেম্যানদের। চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনই নতুন করে আক্রান্ত এবং মৃত্যু দুটিই সমানে হচ্ছে। গত সোমবার মারা যায় একজন ও আক্রান্ত হয় ১১২ জন, গত রবিবার আক্রান্ত হয় ১২২ জন, গত শনিবার আক্রান্ত হয় ১১৩ জন ও মারা যান দুজন এবং গত শুক্রবার আক্রান্ত হয় ৯৬ জন।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. মামুনুর রশীদ বলেন, এবার ডেঙ্গু সংক্রমণের চরিত্রটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। এ বছর মৌসুমের আগে থেকেই সংক্রমণ শুরু হয়। এখন বর্ষাকাল শেষ হয়েছে। তারপরও আক্রান্ত হচ্ছে। তবে চলতি বছর একযোগে পৃথিবীর ১২৬টি দেশে ডেঙ্গুর সংক্রমণ শুরু হয়েছিল। তাই সর্বোচ্চ সতর্কতা ও সচেতনতার বিকল্প নেই। 

চসিকের ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. শরফুল ইসলাম মাহী বলেন, নিয়মিতই চসিকের মশকনিধন কার্যক্রম চলছে। একই সঙ্গে চলছে পরিচ্ছন্ন কার্যক্রমও। তাছাড়া এডিস মশার লার্ভা জন্মাতে না পারার জন্য পানিতে ‘ন্যাটুরাল ডিটি’ একটি ট্যাবলেট ব্যবহার করা হচ্ছে। ২০০ লিটার পানিতে একটা ট্যাবলেট দেওয়া হচ্ছে। এ ট্যাবলেট দিলে ৬০ দিন পর্যন্ত লার্ভা জন্মাবে না। পরীক্ষামূলকভাবে নগরের কিছু ওয়ার্ডে এ কার্যক্রম চলছে। পরবর্তীতে সব ওয়ার্ডে এ কার্যক্রম চলবে।

জানা যায়, চলতি বছর চট্টগ্রামে মোট আক্রান্ত হয় ১০ হাজার ৮৪৫ জন। এর মধ্যে মহানগরে ৭ হাজার ৫৭২ জন ও ১৫ উপজেলায় ৩ হাজার ২৭৩ জন। চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যান ৭৯ জন। মৃতদের মধ্যে পুরুষ ২৩ জন, মহিলা ২৭ জন ও শিশু ২৯ জন। ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষ ৪ হাজার ৯৯৭ জন, মহিলা ২ হাজার ৯৮০ জন ও শিশু ২ হাজার ৮৬৮ জন। 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর