ব্রিটিশ আমলে খুলনা নগরীর উত্তর-পশ্চিমের প্রবেশদ্বার গল্লামারীতে ময়ূর নদের ওপর কংক্রিটের একটি সেতু নির্মাণ হয়। দীর্ঘদিনের সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ২০১৬ সালে এর পাশে নতুন আরেকটি কংক্রিটের সেতু নির্মাণ করা হয়। নতুন সেতু নির্মাণে ব্যয় হয় প্রায় ৭ কোটি টাকা। কিন্তু এই সেতুটি নদের পানির লেভেল থেকে মাত্র ৫ ফুট ওপরে থাকায় নৌ চলাচলের পথ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে আন্দোলনে নামেন নাগরিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। পরে ২০২০ সালের আগস্টে সেতুটি ভেঙে ফেলার সুপারিশ করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের কর্মকর্তারা জানান, অবশেষে খুলনা সড়ক জোন মহাসড়কে বিদ্যমান সরু ও ঝুঁকিপূর্ণ পুরাতন কংক্রিট সেতুর স্থলে নতুন সেতু নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় পুরাতন কংক্রিটের সেতু দুটি ভেঙে সেখানে ৬৭ কোটি ৬৬ লাখ টাকা ব্যয়ে স্টিল আর্চ আকৃতির (খিলান) সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। ঢাকার হাতিরঝিলের আদলে সেতুটিতে পাশাপাশি দুটি অংশে চার লেনে যানবাহন চলাচল করবে। আলাদা ছাউনি থাকবে দুই অংশেই। দৈর্ঘ্য ৬৮.৭০ মিটার ও প্রস্থ ১৩.৭০ মিটার। ময়ূর নদের পানি স্তর থেকে সেতুর উচ্চতা হবে ৫ মিটার। নদের মধ্যে কোনো পিলার থাকবে না। গতকাল সেতু নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র ও খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল। উপস্থিত ছিলেন সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. হেলাল মাহমুদ শরীফ, জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোজাম্মেল হক এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের খুলনা সড়ক জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ আসলাম আলী। ব্রিজটি নির্মিত হলে খুলনার এই অংশের যানজট নিরসন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নসহ দৃষ্টিনন্দন পরিবেশ তৈরি হবে। কর্মকর্তারা জানান, দেড় বছর মেয়াদকালে ২০২৫ সালের এপ্রিল-মে মাসের মধ্যে নির্মাণকাজ শেষ হবে।