দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া খনিতে নির্ধারিত সময়ের আগেই নতুন ফেজ থেকে আবারও কয়লা উত্তোলন শুরু হয়েছে। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির নতুন ১৪১২ নম্বর ফেজ থেকে ২ লাখ ১৬ হাজার মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলনের আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। উত্তোলিত কয়লার পুরোটাই সরবরাহ করা হবে ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে। সত্যতা নিশ্চিত করে বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিএমসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম সরকার জানান, নতুন ফেজে যন্ত্রপাতি স্থানান্তর ও চালু করতে চলতি মাসের শেষ দিকে নতুন ১৪১২ নম্বর ফেজ থেকে কয়লা উত্তোলনের আশা করেছিলেন তারা। তবে সবকিছু ঠিকমতো চলায় নির্ধারিত সময়ের আগেই বুধবার (১১ অক্টোবর) বিকালে কয়লা উত্তোলন শুরু করতে পেরেছেন। নতুন এ ফেজ থেকে ২ লাখ ১৬ হাজার মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলনের আশা করছেন তারা। উত্তোলিত কয়লা ব্যবহার করা হবে ৫২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে। কয়লা খনি সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ১১১৩ ফেজ থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়। ওই ফেজ থেকে সর্বশেষ ২৯ আগস্ট পর্যন্ত ৩ লাখ ৭৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন করা হয়। উত্তোলিত কয়লা কয়লাভিত্তিক বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে সরবরাহ করা হয়েছে। ফেজটির মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ায় নতুন ফেজে যন্ত্রপাতি স্থানান্তরের জন্য ৩০ আগস্ট খনি থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ করা হয়। তবে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে সরবরাহের জন্য ইয়ার্ডে মজুদ রাখা হয়েছিল ১ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা।

নতুন ফেজে কয়লা উত্তোলনের আগে ওই মজুদের ইয়ার্ডে ছিল ৩০ হাজার মেট্রিক টন। ইয়ার্ডের মজুদ শেষ হওয়ার আগেই নতুন ফেজে কয়লা তুলতে সক্ষম হয়েছেন তারা। এতে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লা সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে পারবেন।