শনিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ঘোষণা ছাড়াই নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধ, রাজধানীর সড়ক অবরোধ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঘোষণা ছাড়াই মহিলা অধিদফতরের ডে-কেয়ার ইনচার্জ ও অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ। এর প্রতিবাদে কয়েকটি কেন্দ্রের সামনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন প্রার্থীরা। এতে ওইসব এলাকার সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। গতকাল বেলা ১১টায় রাজধানীর ২০টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা প্রার্থীরা নিজ নিজ কেন্দ্রে পৌঁছান। কেন্দ্রে ঢুকতে গেলে প্রহরীরা তাদের জানান, পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। মহিলা অধিদফতরের উপ-পরিচালক (পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন) আয়শা সিদ্দিকী বলেন, অনিবার্য কারণে আমাদের দুই পদের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তীতে তাদের পরীক্ষার নতুন তারিখ জানিয়ে দেওয়া হবে। আর প্রার্থীদের ভোগান্তির জন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। কিন্তু এটা হঠাৎ সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। তবে কী কারণে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে তা তিনি জানাননি। জানা গেছে, নোটিস ছাড়াই হঠাৎ পরীক্ষা স্থগিতের প্রতিবাদে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী কলেজ, হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজ, তেজগাঁও কলেজ, তেজগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও মিরপুর কলেজসহ বেশ কয়েকটি কলেজের সামনে বিক্ষোভ করেন প্রার্থী ও তাদের অভিভাবকরা।

 পুলিশ তাদের সরে যেতে বললেও গতকাল বেলা সোয়া ১১টা পর্যন্ত তারা বিক্ষোভ অব্যাহত রাখেন। এতে ওই এলাকার সড়কগুলোর দুই পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। চাকরিপ্রার্থীরা প্রশ্নপত্র ফাঁসেরও অভিযোগ তোলেন।

মহিলাবিষয়ক অধিদফতর সূত্র জানায়, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে মহিলাবিষয়ক অধিদফতরের অধীনে ডে-কেয়ার ইনচার্জ পদে ২৭টি, অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে ৬০টি ও অফিস সহায়কের ৪১৭টি শূন্যপদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। গত বছরের ১১ জানুয়ারি ছিল আবেদনের শেষ দিন। প্রায় দেড় বছর পর গতকাল ডে-কেয়ার ইনচার্জ ও অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়ার কথা ছিল।

রাজধানীর শান্তিনগরে হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজে সকাল ১০টায় পরীক্ষা দিতে আসা শায়লা খাতুন বলেন, কেন্দ্রে গিয়ে শুনি পরীক্ষা হবে না। এরপর মাইকে ঘোষণা আসে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। চাকরিপ্রার্থীদের নিয়ে তামাশা শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। কমপক্ষে এক সপ্তাহ আগে পরীক্ষা স্থগিতের তথ্য জানানো উচিত। আজ কয়েক হাজার প্রার্থী কষ্ট করে কত দূর থেকে পরীক্ষা দিতে এসেছেন। এ কষ্টের দায়ভার কে নেবে?

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর