রবিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

রংপুর আওয়ামী লীগে কোন্দলমোচনে কেন্দ্রের কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

রংপুর আওয়ামী লীগে কোন্দলমোচনে কেন্দ্রের কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ

কেন্দ্রের কড়াকড়িতে রংপুরে আওয়ামী লীগের কোন্দল দূর হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে বলে মনে করছেন আশাবাদীরা। তবে কোন্দল মেটানো নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা। সূত্র জানায়, গত বুধবার ঢাকায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের রংপুর জেলা, মহানগর ও তিন উপজেলার নেতাদের ডেকে নিয়ে ৩ ঘণ্টা বৈঠক করেছেন শীর্ষ নেতারা। তারা সাত দিনের মধ্যে মহানগরীর ছয় থানা কমিটি অনুমোদন এবং পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন। এ ছাড়া কাউনিয়া ও মিঠাপুকুর উপজেলার অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিরসনে একটি কমিটি করে দেওয়া হয়েছে।

ওই বৈঠকে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ও রংপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের তিন শীর্ষ নেতা, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী ছিলেন। আরও ছিলেন রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক সাদায়েত হোসেন বকুল, যুগ্ম আহ্বায়ক মাজেদ আলী বাবুল, জয়নাল আবেদীন ও আনোয়ারুল ইসলাম ছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কমিটির কয়েকজন নেতা এবং মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ডা. দেলোয়ার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাশেম, মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শাফিয়ার রহমান, সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মণ্ডল, মিঠাপুকুর, পীরগাছা ও কাউনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

জানা গেছে, এক বছর আগে রংপুর মহানগরের ছয় থানার সম্মেলনের মাধ্যমে সভাপতি-সম্পাদক নির্বাচিত হলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়নি। রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হার এবং মেয়র প্রার্থী হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়ার জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার কাছে শোচনীয় জামানত খোয়ানোকে কেন্দ্র থেকে জেলা ও মহানগর কমিটি বিলুপ্ত করে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। গুঞ্জন উঠেছে, আহ্বায়ক কমিটি গঠনের পরে কোন্দল দূর না হয়ে আরও বেড়েছে। সম্প্রতি মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অনুমোদন না দিয়ে ছয় থানা কমিটি ভেঙে দেওয়ার উদ্যোগ নিলে দলীয় বিরোধ চরমে ওঠে। এ নিয়ে কয়েকদিন উত্তেজনাও ছিল। এ ছাড়া জেলা আহ্বায়ক কমিটিতে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হওয়ার অভিযোগ ওঠে।

রংপুর-৫ আসন এলাকা মিঠাপুকুর উপজেলা সাত বছর ধরে কমিটিবিহীন চলছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন পালন করা নিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য আশিকুর রহমান ও উপজেলা চেয়ারম্যান জাকির হোসেনের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে পুলিশসহ অর্ধশত নেতা-কর্মী আহত হন। গত ২৫ সেপ্টেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক প্রস্তাবিত ৫৬ সদস্যবিশিষ্ট একটি আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন। এ কমিটিতে সরকারি কর্মচারী, মৃত ব্যক্তি, বিদেশে বসবাসকারী, মাদক মামলার আসামিসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়া ব্যক্তিদের নাম থাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়।

মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মণ্ডল বলেন, কোন্দল মিটিয়ে আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে বলেছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর