কুমিল্লা নগরীতে দিনের বেলায় ৩২টি বাস, কিছু ট্রাক ও ভটভটি চলাচল করতে দেখা গেছে। এতে যানজটে নগরী থমকে যায়। ভোগান্তিতে পড়েন অফিসগামী মানুষ, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। সরেজমিন লাকসাম রোডে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুলের কয়েকটি বাস যানজটে আটকে আছে। সঙ্গে রয়েছে ট্রাক ও রডবাহী ভটভটি। সড়কে ফেলে রাখা হয়েছে বালু। ভটভটির কালো ধোঁয়ায় অন্ধকার চারপাশ। সঙ্গে রয়েছে বিকট শব্দ। যানজটে রিকশায় বসে স্কুল শিক্ষার্থীরা মুখে হাত চাপা দিয়ে কাশছে। এই দুর্ভোগে পড়েন অন্য যাত্রীরাও। এদিকে কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড়, মনোহরপুর, নিউমার্কেট, রাজগঞ্জ, মোগলটুলী, বাদুরতলা, ঝাউতলা, টমসমব্রিজ, পুলিশ লাইন, ফৌজদারি সড়কেও তীব্র যানজট দেখা যায়। নগরীর মর্ডান, ফয়জুন্নেছা ও ওয়াই ডব্লিউ সিএ স্কুল শুরুর আগে বাদুরতলা এলাকায়ও তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ছুটির সময়ও একই অবস্থা হয়। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন কুমিল্লার সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর মাসুম বলেন, বিভিন্ন সময়ে শুনি সিটি করপোরেশন ও প্রশাসন যানজট নিরসনে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে, কিন্তু যানজট নিরসন হচ্ছে না। নগরীতে চলাচল করা পরিবহনগুলোকে লাইসেন্সের আওতায় আনতে হবে। প্রয়োজনে পরিবহনের সংখ্যা কমাতে হবে। আমরা চাই শুধু উদ্যোগের কথামালা নয় তার সময়োপযোগী বাস্তবায়নও প্রয়োজন। যাতে নগরবাসী স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে পারে।

কুমিল্লার ট্রাফিক ইন্সপেক্টর জিয়াউল হক চৌধুরী টিপু বলেন, নগরীতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৩২টি বাস চলাচল করে। ছোট সড়কে বড় বাস চলায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। সেগুলোকে ঈদগাহের পাশে ও টমছম ব্রিজের পরে অবস্থান করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশ সুপার প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্বশীলদের সঙ্গে কথা বলেছেন। সিটি করপোরেশন ও প্রশাসনের সহায়তায় আমরা বাস চলাচলের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ছামছুল আলম বলেন, কুমিল্লা নগরীর যানজট নিরসন নিয়ে সম্প্রতি কয়েক দফা সভা বৈঠক হয়েছে। বাস চলাচলের জন্য কিছু নিয়ম করা হয়েছে। আমরা সেগুলো বাস্তবায়ন করব।