দুয়ারে কড়া নাড়ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। ২০ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মাধ্যমে শুরু হবে দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিক উৎসব। ইতোমধ্যে পূজার জন্য প্রস্তুত হয়েছে চট্টগ্রামের ২ হাজার ১৭৫ পূজামণ্ডপ। পূজা ঘিরে মণ্ডপগুলোয় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। যে কোনো ধরনের নাশকতা ও দুর্ঘটনা এড়াতে সজাগ পূজামণ্ডপের দায়িত্বরত স্বেচ্ছাসেবকরাও।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)র মুখপাত্র ও অতিরিক্ত কমিশনার স্পীনা রাণী প্রামাণিক বলেন, যথেষ্ট ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সিসি ক্যামেরাও থাকবে কিছু কিছু পূজামণ্ডপে। এ ছাড়া আমরা পূজা কমিটির নেতৃবৃন্দকেও কিছু পরামর্শ দিয়েছি। আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য আমাদের যথেষ্ট প্রস্তুতি রয়েছে। চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্তি পুলিশ সুপার আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন বলেন, পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ইতোমধ্যে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সমন্বয় সভা করেছি। প্রতিটি পূজামণ্ডপে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য থাকবেন এবং পুলিশও সার্বক্ষণিক সজাগ থাকবে। কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক শ্যামল কুমার পালিত বলেন, অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা এড়াতে কিছু পূজামণ্ডপে প্রশাসনের নজরদারি বেশি থাকবে। আমরা মনে করি প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সক্ষম। জানা যায়, এ বছর নগরের ২৯৩টি ও ১৫ উপজেলার ১ হাজার ১৫১টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা হবে। বিজয়া দশমীর মাধ্যমে শেষ হবে এ বছরের দুর্গোৎসব। ইতোমধ্যে মণ্ডপে প্রতিমা নেওয়া শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুগ্রীব মজুমদার দোলন জানান, সামাজিক সম্প্রীতি রক্ষায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী রাজনৈতিক দল, জনপ্রতিনিধি ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করলে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা শূন্যের কোটায় নেমে আসবে।