বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

দুই মাসেও শেষ হয়নি কিনব্রিজ সংস্কার

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

দুই মাসেও শেষ হয়নি কিনব্রিজ সংস্কার

সিলেটের কিনব্রিজের মেরামত কাজ দুই মাসের মধ্যে শেষ করার কথা থাকলেও আরও বাড়ানো হয়েছে সময়। ফলে খেয়া নৌকায় জনসাধারণকে পাড়ি দিতে হচ্ছে সুরমা নদী, বেড়েছে ভোগান্তি। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করা যায়নি। এ ছাড়া ধারণার চাইতে সংস্কার কাজের পরিমাণ বেশি। তাই আগামী নভেম্বর পর্যন্ত চলবে কাজ, এত দিন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে কিনব্রিজ। সেতুটির সংস্কার কাজের জন্য ১৬ আগস্ট মানুষ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং সেতুর দুই পাশে টিনের বেড়া দেওয়া হয়। ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত দুই মাস যানবাহন ও মানুষজন চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। সেতুটি মেরামতের কাজ পাওয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইউনুস অ্যান্ড ব্রাদার্সের প্রতিনিধি মো. শিপন জানান, মেরামত কাজ চলছে। দুই মাসের মধ্যে শেষ করার কথা থাকলেও সেতুর দুই পাশের পাত অকেজো অবস্থায় পাওয়া গেছে, সেগুলো মেরামত করা হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই ঢালাই কাজ হবে। সময় বাড়ানোর ব্যাপারে এখনো কোনো লিখিত নোটিশ পাইনি। সংস্কার কাজ দ্রুত শেষ করতে বেশি শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এদিকে নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। সেতু দিয়ে চলাচল করতে না পারায় দীর্ঘ পথ ঘুরে যেতে হচ্ছে জরুরি প্রয়োজনে মহানগরীর দক্ষিণ থেকে উত্তর পারে আসা মানুষজনকে। অনেকে খেয়া নৌকা দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হচ্ছেন। ভোগান্তির শিকার মানুষ জানান, কিনব্রিজ বন্ধ হওয়ার পর থেকে বেশ বিপাকে রয়েছেন তারা।

দক্ষিণ সুরমা থেকে উত্তর সুরমায় প্রবেশ করতে পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে। দীর্ঘ পথ ঘুরে অন্য ব্রিজ দিয়ে নগরে প্রবেশ করছেন তারা। সে ক্ষেত্রে ব্যয় করতে হচ্ছে বাড়তি টাকা। আবার অনেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেতুর নিচে নৌকা দিয়ে নদী পারাপার হচ্ছেন। এসব নৌকায় অতিরিক্ত যাত্রী তোলার অভিযোগ রয়েছে। সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ও রেল স্টেশনে যাতায়াতের সহজ পথ কিনব্রিজ। ব্রিজটি বন্ধ থাকায় পথচারীদের ঘুরে অন্য পথে যেতে হচ্ছে। এতে সময় ও টাকা দুই-ই অপচয় হচ্ছে।

রেলওয়ের সেতু বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী (পূর্বাঞ্চল) জীষাণ দত্ত জানান, বৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করা যাচ্ছে না। এ ছাড়া যতটা ধারণা করা হয়েছিল তার থেকে বেশি খারাপ অবস্থায় আছে কিনব্রিজ। তাই আরও এক মাস সময় বাড়ানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর