শুক্রবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

বৃষ্টি কমলেও ডেঙ্গু কমেনি

চট্টগ্রামে ঘরে ঘরে জ্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

বৃষ্টি কমলেও ডেঙ্গু কমেনি

চট্টগ্রামে এখন ঘরে ঘরে জ¦রে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। জ¦রের সঙ্গে শনাক্ত হচ্ছে ডেঙ্গুও। জ¦রে আক্রান্ত হওয়া অধিকাংশ শিশুরই এখন ডেঙ্গু শনাক্ত হচ্ছে। বৃষ্টি কমলেও কমেনি ডেঙ্গুর প্রকোপ। কিন্তু জ¦রের পর ডেঙ্গু শনাক্ত হলেই আতঙ্কিত হচ্ছেন অভিভাবকরা। জানা যায়, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের শিশু স্বাস্থ্য বিভাগে সাধারণ শয্যা আছে ১২০টি। কিন্তু এখানে ভর্তি নিয়মিতই ভর্তি থাকে প্রায় ৩০০ জন শিশু রোগী। চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের শিশু স্বাস্থ্য বিভাগে এনআইসিইউসহ মোট শয্যা আছে ৩০০টি। গতকাল সেখানে শয্যার বাইরেও রোগী ভর্তি ছিল। শিশু ডেঙ্গু রোগী ছিল ২২ জন। চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু স্বাস্থ্য বিভাগে শয্যা আছে ১১০টি এবং ডেঙ্গু ব্লক আছে ১০ শয্যার। কিন্তু গতকাল শিশু স্বাস্থ্য বিভাগে ভর্তি ছিল ১৩৫ জন এবং ডেঙ্গু ব্লকে ভর্তি ছিল ১২ জন। ডেঙ্গু ছাড়াও ঠান্ডাজনিত কাশি, ডায়রিয়ায়ও আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। তিন বছর বয়সী শিশু নাহিনের বাবা আরাফাতুর রহমান বলেন, তিন দিন ধরে শিশুর জ¦র কমছে না। ১০৩-১০৪ পর্যন্ত হয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে হাসপাতালে ভর্তি করাইছি। এখন জ¦র কমছে। চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. নুরুল হক বলেন, প্রতিদিনই জ¦র নিয়ে শিশু রোগী আসছে। কিন্তু ভর্তির পর পরীক্ষায় ডেঙ্গু শনাক্ত হচ্ছে। এখানে শিশুদের জন্য ৩০০ শয্যা থাকলেও শয্যার বাইরেও রোগী রাখা হচ্ছে। গতকাল হাসপাতালে মোট ৬৯৬ জন রোগী ভর্তি ছিল। চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশু স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ মুসলিম উদ্দিন সবুজ বলেন, হাসপাতালে শয্যার চেয়ে বেশি রোগী ভর্তি রাখতে হচ্ছে।

তাছাড়া ব্যক্তিগত চেম্বারে জ¦র নিয়ে আসা শিশু রোগীদের অর্ধেকেরই ডেঙ্গু শনাক্ত হচ্ছে। কারণ ডেঙ্গু এখন শহরের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, গ্রামেও ছড়িয়েছে। আর বৃষ্টি কমলেও ডেঙ্গু কমেনি। তাই শিশুদের সতর্ক ও সাবধানে রাখতে হবে।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে নতুন করে আক্রান্ত হয় ৯৪ জন এবং মারা যায় একজন। চলতি বছর গতকাল পর্যন্ত চট্টগ্রামে মোট আক্রান্ত হয় ১১ হাজার ৫৬৩ জন। এর মধ্যে মহানগরে ৮ হাজার ৬৪ জন এবং উপজেলায় ৩ হাজার ৪৯৯ জন। আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষ ৫ হাজার ৩৪৮ জন, মহিলা ৩ হাজার ১৭৬ জন ও শিশু ৩ হাজার ৩৯ জন। চলতি বছর মোট মারা যান ৮২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২৪ জন, মহিলা ২৮ জন ও শিশু ৩০ জন।

 

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর