রবিবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা
সাটুরিয়া-দড়গ্রাম সড়ক

শুষ্ক মৌসুমে ধুলাবালি আর বর্ষায় মৃত্যুফাঁদ

মো. কাবুল উদ্দিন খান, মানিকগঞ্জ

শুষ্ক মৌসুমে ধুলাবালি আর বর্ষায় মৃত্যুফাঁদ

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া-দড়গ্রাম আঞ্চলিক সড়কের বেহাল দশা দীর্ঘদিন। শুষ্ক মৌসুমে ধুলাবালিতে একাকার আর বর্ষা মৌসুমে সড়কটি পরিণত হয় মৃত্যুফাঁদে। এ সড়কের পুনর্নির্মাণ কাজে ঠিকাদার কার্পেটিং তুলে ফেলার পর ঠিকাদারের দেখা নেই তিন বছর। ক্ষত-বিক্ষত সড়কে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোটবড় দুর্ঘটনা। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় ভোগান্তি পোহাচ্ছেন এ রাস্তায় চলাচলকারীরা। স্থানীয়দের অভিযোগ, এ সড়কে চলাচলকারী গাড়ির ধুলায় পাশে বাড়িঘর আচ্ছাদিত হয়ে যায়। লোকজন হাঁচি কাশিতে ভুগে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। রাস্তাজুড়ে ভয়ংকর গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় কুষ্টিয়া, প্রধানপুর মোড় বৃষ্টিতে নর্দমায় পরিণত হয়ে যায়। দেখে বোঝার উপায় থাকে না এটি রাস্তা নাকি জলাশয়। এতে দুর্ঘটনা ঘটে অহরহ। স্থানীয় আরশাদ মিয়া (৫৯) বলেন, আগে এ সড়কে কষ্ট করে হলেও চলাচল করা যেত। রাস্তার ওপরের কার্পেটিং তুলে ফেলায় এখন করুণ অবস্থা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের জুনে সাটুরিয়া-দড়গ্রাম এলজিইডি সড়কে প্রায় ৬ কিলোমিটার রাস্তা পুনর্নির্মাণ কাজের কার্যাদেশ পান মেসার্স হোসাইন কনস্ট্রাকশন। চুক্তি মোতাবেক ৯ কোটি ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৭ টাকার কাজ এ বছর ২ এপ্রিল শেষ হওয়ার কথা। এলাকাবাসীর অভিযোগ চুক্তির পরই পুরো রাস্তার কাপেটিং তুলে লাপাত্তা হন ঠিকাদার। এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর মানিকগঞ্জ নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফয়জুল হক বলেন, কভিডের কারণে ও ঠিকাদারের আর্থিক সংকটের জন্য কাজটি সম্পন্ন করতে পারেনি। পরে কার্যাদেশ বাতিল করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। কিন্তু ঠিকাদার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মিটিং করে কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করার প্রতিশ্রুতি দেন। আশা করছি, ডিসেম্বরের মধ্যেই কাজটি সম্পন্ন হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর