রবিবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

টঙ্গীর ১৯ বস্তিতে নিরাপদ মাদক বাণিজ্য

আফজাল, টঙ্গী

টঙ্গীর ১৯ বস্তিতে নিরাপদ মাদক বাণিজ্য

গাজীপুরের টঙ্গীতে ১৯টি বস্তিই মাদক কারবারিদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বস্তির বাইরে তাদের আলিশান বাড়িঘর থাকলেও তারা বাস করছে টঙ্গীর বিভিন্ন বস্তিতে। হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক। পুলিশের নাকের ডগায় দেদার চালিয়ে যাচ্ছে তাদের কার্যক্রম। পুলিশের সোর্সরাই সবচেয়ে বেশি ভয়ংকর। এরা মাদক থেকে শুরু করে সব অপরাধে জড়িত। টঙ্গীর ১৯টি বস্তিসহ অর্ধশতাধিক স্পটে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের মাদক। খুচরা ব্যবসায়ীরা ধরা পড়লেও আসল হোতারা রয়ে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে। বিভিন্ন স্তরের শক্তিমান ব্যক্তিদের প্রশ্রয়ে বাণিজ্য চলছে।  সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, টঙ্গীতে হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক। পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত। জড়িয়ে পড়ছে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও। আবার অনেকেই কৌশলে সংবাদপত্রের কার্ড নিয়ে করে মাদক ব্যবসা। এসব মাদক ব্যবসায়ী দলের নাম ভাঙিয়ে রাতভর নেতাদের বাড়ি বাড়ি ঘুরে আর পুলিশের সঙ্গে সখ্য তৈরি করে নিজেদের স্বার্থ হাতিয়ে নেয়। টঙ্গীর বেশ কয়েকটি স্পটের মধ্যে ৫৭ নম্বর ওয়ার্ড হাজী মাজার বস্তি, মিলগেট নামাবাজার বস্তি, কাঠারদিয়া বস্তি, গাজীপুরা খরতৈল ব্যাংকপাড়া, টঙ্গী বাজার এলাকা, আরিচপু, মিরেশ পাড়া, নদীবন্দর, ৫৬ নম্বর ওয়ার্ড ব্যাংক মাঠ বস্তি, আমতলি বস্তি, হিমারদীঘি, দত্তপাড়া, শিলমুন, মরকুন, আউচপাড়া, মধুমিতা, গাজীবাড়ি, পাগাড় সোসাইটি মার্কেট, গোপালপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় রমরমা মাদক ব্যবসা। এদিকে অপরাধীদের নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে আমতলি এলাকার পাশে অবস্থিত বিলাসবহুল জাবান হোটেল। সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে ওই হোটেলে শুরু হয় অশ্লীল নাচ-গান আর মাদক কেনাবেচা, চলে সারা রাত। সম্প্রতি টঙ্গীর ব্যাংক মাঠ বস্তি থেকে একাধিক মামলার আসামি রুনাকে গ্রেফতার করার পর পূনরায় মাদক মামলায় না জড়ানোর শর্তে ৪ লাখ টাকা ঘুষ লেনদেন করার অভিযোগ উঠে পূবাইল থানা পুলিশের বিরুদ্ধে। পুলিশের সোর্স হৃদয় সেই টাকা নেন। পুবাইল থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, ঘুষ নেওয়ার বিষয়টি মিথ্যা। সোর্স হৃদয়কে তিনি চেনেন না।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর