রবিবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

কর্মসূচির আড়ালে সহিংসতা করলে কঠোর হস্তে দমন

ডিএমপি কমিশনার

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৮ অক্টোবর কর্মসূচির আড়ালে যদি কেউ সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করে, মানুষের জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার চেষ্টা করে- তাহলে তা কঠোর হস্তে দমন করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান। গতকাল মেট্রোরেলের নিরাপত্তায় নিয়োজিত এমআরটি পুলিশের কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে উত্তরা উত্তর স্টেশনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। অপর এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে যে কোনো রাজনৈতিক দলের শান্তিপূর্ণভাবে রাজনৈতিক আন্দোলন, মিছিল-মিটিং সমাবেশ করার অধিকার রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে পুলিশ নিরাপত্তাও দিয়ে থাকে। কিন্তু ২৮ অক্টোবর কর্মসূচির আড়ালে যদি কেউ সহিংসতা সৃষ্টির চেষ্টা করে, মানুষের জানমালের নিরাপত্তার শঙ্কা দেখা দেয়- তাহলে ডিএমপি তা কঠোর হস্তে দমন করবে।

মহাসমাবেশ ঘিরে গুজব ঠেকাতে ডিএমপির উদ্যোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে ডিএমপি প্রধান বলেন, সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য একটি স্বার্থান্বেষী মহল গুজব ছড়াচ্ছে। শুধু ২৮ অক্টোবর ঘিরেই নয়, অন্যান্য বিষয়েও ফেসবুক, ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়ানোর অপচেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা মনে করি, ঢাকাসহ সারা দেশের মানুষ গুজবের বিরুদ্ধে সচেষ্ট থাকবে। এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। গুজবকে উড়িয়ে দিয়ে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা আমরা নিশ্চিত করতে পারব।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আরেকটা শাপলা চত্বর হতে যাচ্ছে। পরিণতি হবে শাপলার চত্বরের চেয়েও ভয়াবহ। এ কথা উল্লেখ করে এ ব্যাপারে কোনো গোয়েন্দা তথ্য আছে কি না, জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমরা নজরদারির ভিতরে রেখেছি। আমাদের পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থাসহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। এ ব্যাপারে যে কোনো তথ্য যদি আমরা পাই, তবে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব। ২০১৩-১৪ সালে এ রকমই অপতৎপরতার চেষ্টা করা হয়েছিল। সেটি শুধু ঢাকা নয়, সারা দেশেই করা হয়েছিল। তখন বাংলাদেশ পুলিশ সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিহত করেছে, পরাজিত হয়েছে সন্ত্রাসীরা।

এমআরটি পুলিশ সম্পর্কে হাবিবুর রহমান বলেন, মেট্রোরেলের স্টেশনসহ এর অভ্যন্তরে যে কোনো অপরাধের খবর পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর এ জন্যই মেট্রোরেলে মানুষের যাতায়াত নিরাপদ করতে এমআরটি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তারা মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। এমআরটি পুলিশ কেবল স্টেশনের ভিতরে দায়িত্ব পালন করবে এবং প্রতি স্টেশনে একজন পুলিশ পরিদর্শকের নেতৃত্বে ১১ সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। বর্তমানে ছয়টি স্টেশনে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে এমআরটি পুলিশ। রবিবার আরও তিনটি স্টেশনের দায়িত্ব নেবেন তারা।

তিনি আরও বলেন, মেট্রোরেলে উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ২১.২৬ কিলোমিটার যাতায়াতে ৩৮ মিনিটেরও কম সময় লাগবে। গত বছরের ৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রথম এলিভেটেড মেট্রোরেল উদ্বোধন করেন। এরপর উত্তরা-আগারগাঁও মেট্রোরেলের কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। আগামী ৪ নভেম্বর আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত অংশে মেট্রোরেল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের ১৭টি স্টেশন রয়েছে। সব কটি স্টেশনের নিরাপত্তা দেবে এমআরটি পুলিশ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর