রবিবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

বিএনপির ২৮ অক্টোবর অশ্বডিম্বে পরিণত হবে : ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির ২৮ অক্টোবর অশ্বডিম্বে পরিণত হবে : ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ২৮ অক্টোবর নিয়ে বিএনপি তার কর্মীদের মিথ্যা আশ্বাস দিচ্ছে। তাদের এ আশ্বাস ১০ ডিসেম্বরের মতো অশ্বডিম্বে পরিণত হবে। গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর ঢাকেশ্বরী পূজামন্ডপ পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় আসছে ৪ নভেম্বর মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আহ্বান জানান তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ২৮ অক্টোবরের মধ্যে বিএনপি ‘পর্বতের মূসিক প্রসবের’ মতো কোনো ঘটনা ঘটিয়ে দিতে পারে। সেই হাঁকডাক তারা শুরু করেছে। ওই দিন ঘিরে শুরু হয়েছে তাদের মহাযাত্রার মহারব।

 বিএনপি কর্মীদের মিথ্যা আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে। সেই আশ্বাস যখন ১০ ডিসেম্বরের মতো অশ্বডিম্বে পরিণত হবে তখন এই কর্মীদের কাঠগড়ায় বিএনপি নেতাদেরই দাঁড়াতে হবে।

বিএনপির উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২৮ অক্টোবর আমাদেরও কর্মসূচি আছে, মহাযাত্রা আছে। আমাদের কর্মসূচি আমরা আগেই ঘোষণা করেছি। চট্টগ্রামে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম নদী তলদেশীয় টানেল, বঙ্গবন্ধু টানেলের মহাযাত্রা শুরু হবে ওইদিন। ওইদিন বিকাল ৪টায় বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে জনতার মহাসমুদ্র দেখতে পাবেন। কোথায় কী অবরোধ করবেন? কয় দিন সময়  দেবেন? আমরা ২৮ অক্টোবরও আছি। ৪ নভেম্বরও আছি।

ওবায়দুল কাদের এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, দাওয়াত দিচ্ছি আপনাদের। ৪ নভেম্বর ঢাকাতে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ জমায়েত হবে মেট্রোরেলের উদ্বোধন উপলক্ষে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশে বক্তব্য রাখবেন। তিনি বলেন, জীবনেও তো একটা মেগা প্রজেক্ট করতে পারেননি। লুটপাট, ডাকাতি আর চুরিচামারি করেছেন। দেশের সম্পদ হাওয়া ভবনের খাওয়া ভবনে নিয়ে লুকিয়েছেন। দেশের অর্থ বিদেশে পাচার করেছেন।

তিনি আরও বলেন, এক্সপ্রেসওয়ে তো দেখলেন। ফার্মগেট থেকে এয়ারপোর্ট মাত্র ৮ মিনিটে যাওয়া যাবে ভাবতে পেরেছিলেন? পদ্মা সেতুর এপার থেকে ওপারে যেতে লাগে ৭ থেকে ৮ মিনিট। এটা শেখ হাসিনার ম্যাজিক। এ ম্যাজিক ৪ নভেম্বরও দেখবেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বন্ধুরাষ্ট্র ভারতসহ অন্যান্য দেশের মতো হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানরা আমাদের একাত্তরের সহযোদ্ধা। দেবী দুর্গার ঘোটকে আসা যাওয়ার এ সময়ে অনাচার, অস্থিরতার ডাক দিচ্ছে একটি মহল। এদের প্রতিরোধ করতে হবে। যারা সন্ত্রাস করতে চায় তাদের অসুরের মতোই বধ করতে হবে। দেশের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হবে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ছাড়া সংখ্যালঘুদের আর কোনো আপনজন নেই। শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপন প্রধানমন্ত্রী মনিটর করছেন। শেখ হাসিনা দেশের জন্য অনন্য সৃষ্টি। বাংলাদেশকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য মৃত্যুর পরও তিনি বেঁচে থাকবেন। যে কাজগুলো তিনি করে যাচ্ছেন সে কাজগুলোই তাঁকে বাঁচিয়ে রাখবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর