সোমবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

২৮ তারিখ রাজপথ থাকবে আওয়ামী লীগের দখলে : তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ প্রসঙ্গে বলেছেন, বিএনপির মহাসমাবেশ, ছোট সমাবেশ, মাঝারি সমাবেশ, হাঁটা, দৌড় বা বসা কর্মসূচি, ভবিষ্যতে হয়তো হামাগুড়ি দেওয়া কর্মসূচি আসবে-এগুলোতে আমরা কখনো চাপ অনুভব করি নাই। আমরা রাজপথের দল, আমরা রাজপথে আছি, রাজপথে থাকব, ২৮ তারিখেও রাজপথ আওয়ামী লীগের দখলে থাকবে। গতকাল সচিবালয়ে সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলালের গবেষণাপত্র ও গবেষণা গ্রন্থগুলো নিয়ে ‘স্বরব্যঞ্জন’ প্রকাশিত ‘বঙ্গবন্ধু সমগ্র’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। ‘স্বরব্যঞ্জন’ প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ড. শিহাব শাহরিয়ার মোড়ক উন্মোচনে অংশ নেন। বিএনপি মহাসচিবের ‘যে স্বপ্ন ও আশা নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল সেটা ধুলায় মিশে গেছে’ মন্তব্য নিয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব কি আসলে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন- এটি আমার প্রশ্ন। কারণ তিনি কয়েক মাস আগে বলেছিলেন, ‘পাকিস্তানই ভালো ছিল’। আমি কারও বাবা নিয়ে কথা বলতে চাই না, কিন্তু তার বাবা পাকিস্তান সমর্থক একজন মানুষ ছিলেন। অর্থাৎ মির্জা ফখরুল সাহেবের বক্তব্য বলে তিনি বাংলাদেশ নিয়ে স্বপ্নটাই দেখেন নাই।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ নিয়ে যারা স্বপ্ন দেখে নাই বরং পাকিস্তানের পক্ষ অবলম্বন করেছিল সেই সমস্ত লোকজনের সন্নিবেশ ঘটিয়ে বিএনপি গঠিত হয়েছে। যে শাহ আজিজুর রহমান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তান প্রতিনিধি দলের ডেপুটি লিডার হিসেবে জাতিসংঘে গিয়ে ‘পূর্ব পাকিস্তানে কোনো গণহত্যা হচ্ছে না, ভারতীয় চরেরা গন্ডগোল এবং বিশৃঙ্খলা করছে মাত্র’ এই বক্তব্য দিয়েছিলেন, তাকেই জিয়াউর রহমান প্রথম প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছিলেন। যারা দেশটাই চায়নি তাদের সন্নিবেশ ঘটিয়ে ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে বিএনপি গঠিত হয়েছিল আর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, আমাদের পূর্বসূরি মুক্তিযোদ্ধারা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকরা, যারা দেশটা রচনা করে গেছেন, তাদের চেতনার বেদিমূলে আঘাত হেনেছিলও জিয়াউর রহমান এবং বিএনপি।

বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক ‘মুুজিব : একটি জাতির রূপকার’ সিনেমায় জিয়াউর রহমান ঠিকভাবে চিত্রিত হননি- বিএনপির এ মন্তব্য প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এটি বঙ্গবন্ধুর জীবন নিয়ে একটি বায়োপিক। বঙ্গবন্ধু কীভাবে খোকা থেকে শেখ মুজিব, শেখ মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির পিতা এই ছবিটিতে সেটিই উঠে এসেছে। এই ছবি দেশে-বিদেশে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। হাছান মাহমুদ বলেন, সিনেমাটি নিয়ে যখন মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া তখন স্বাভাবিকভাবেই বিএনপির একটু গাত্রদাহ হচ্ছে হয়তোবা। কারণ তাদের মূল নেতারা কথা না বললেও দু-একজন কথা বলেছেন, লিগ্যাল নোটিসও না কি দেওয়া হয়েছে। তবে যেগুলো ঐতিহাসিক সত্য সেগুলোই এখানে উঠে এসেছে। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের সঙ্গে যে জিয়াউর রহমান যুক্ত ছিলও এটা খুনিরাই দম্ভ করে যখন খুনের দায় স্বীকার করেছিল তখন তারা বলে গেছে, সেই রেকর্ড আছে, আপনারা দেখেছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও আছে। মামলা শুরু হওয়ার আগে কর্নেল ফারুক রশীদ লন্ডনে একটি টেলিভিশনে সাক্ষাৎকারে দম্ভভরে খুনের দায় স্বীকারের সময়ও জিয়াউর রহমানের সংশ্লিষ্টতার কথা বলেছেন। ছবিতে সেই বিষয়টা পুরো আসে নাই। তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি যদি বলে থাকে যে, জিয়াউর রহমানকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করা হয় নাই সেটি সঠিক কারণ উনি যে পরিমাণে বঙ্গবন্ধুর খুনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ছবিতে এটা পুরো আসেই নাই। এর আগে ‘বঙ্গবন্ধু সমগ্র’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচনকালে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এই বইটি উঁচুমানের এবং এটি পড়লে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে অনেক কিছু জানার সুযোগ সবারই হবে।

 

সর্বশেষ খবর