বুধবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

এবার অপেক্ষায় বেনাপোলের মানুষ

বেনাপোল প্রতিনিধি

এবার অপেক্ষায় বেনাপোলের মানুষ

পদ্মা সেতু হয়ে রেলে ঢাকায় যাতায়াতের অপেক্ষায় বেনাপোলের মানুষ। সব ঠিকঠাক থাকলে ২ নভেম্বর ঢাকা-বেনাপোলের মধ্যে পদ্মা সেতু হয়ে চলাচল করবে যাত্রীবাহী ট্রেন ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’। ইতোমধ্যে পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর পাল্টে গেছে বেনাপোল বন্দরের সঙ্গে ঢাকার যাতায়াতব্যবস্থা। আগে বেনাপোল থেকে দৌলতদিয়া হয়ে ঢাকা যেতে একটি পণ্যবাহী ট্রাকের লাগত ১০ থেকে ৩০ ঘণ্টা। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর বেনাপোল পোর্ট থেকে আমদানি পণ্যবাহী ট্রাক ঢাকায় যাচ্ছে মাত্র ৫ ঘণ্টায়। পক্ষান্তরে ভারতে রপ্তানিযোগ্য পণ্যবাহী ট্রাক ঢাকা থেকে পণ্য নিয়ে বেনাপোল পৌঁছাচ্ছে একই সময়ে। যাত্রী পরিবহনে এসেছে আমূল পরিবর্তন। যাত্রীবাহী বাসে বেনাপোল থেকে ঢাকা পৌঁছাতে লাগত ৮ থেকে ১৫ ঘণ্টা। পদ্মা সেতুর বদৌলতে ভারতফেরত পাসপোর্ট যাত্রীরা এখন সাড়ে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টায় নির্বিঘ্নে পৌঁছে যাচ্ছেন ঢাকায়। বেড়েছে ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারের সংখ্যা। বেনাপোলের সঙ্গে যশোর হয়ে সরাসরি ট্রেন যোগাযোগ স্থাপিত হলে পরিবহনের অগ্রযাত্রায় যোগ হবে আরেকটি নতুন পালক। যশোরের চেঙ্গুটিয়া থেকে নড়াইল পর্যন্ত রেলসড়কের নির্মাণকাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছর থেকে বেনাপোলের সঙ্গে নড়াইল হয়ে ঢাকায় যাবে ট্রেন। সম্পূর্ণ রেলপথ নির্মাণ না হওয়ায় বিকল্প পথে অর্থাৎ মাওয়া থেকে ফরিদপুর-রাজবাড়ী-পোড়াদহ হয়ে ট্রেন যাবে যশোর। বেনাপোল থেকে ঢাকা যাবে একই পথে।

আপাতত যশোর থেকে পোড়াদহ হয়ে ঢাকা পৌঁছাতে সময় একটু বেশি লাগবে। তবে বেনাপোলের সঙ্গে নড়াইল হয়ে ঢাকার রেল প্রকল্প পুরোপুরি চালু হলে পাল্টে যাবে বেনাপোল বন্দরের চিত্র। ব্যবসাবাণিজ্যে আসবে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। বেনাপোলের ব্যবসায়ীরা মনে করেন রেলব্যবস্থা চালু হলে সময় বেঁচে যাওয়ার পাশাপাশি এ অঞ্চলে অর্থনৈতিক পরিবর্তন আসবে।

ভারত থেকে পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে পরিবহনব্যবস্থার পরিবর্তনের সঙ্গে কৃষিনির্ভর যশোর অঞ্চলের কৃষি খাত আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে। যশোর-সাতক্ষীরা অঞ্চলের মাছের পাশাপাশি গদখালী ও ঝিকরগাছার ফুল, বিভিন্ন ধরনের সবজি, নারকেল, কাঁঠালসহ কৃষিজাত পণ্য সহজেই পৌঁছে যাবে ঢাকায়। দ্রুততম সময়ে কৃষিপণ্য ঢাকায় পৌঁছানো সম্ভব হলে উপকৃত হবে এ অঞ্চলের লাখ লাখ কৃষক।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আলহাজ শামছুর রহমান বলেন, ‘গার্মেন্টসহ রপ্তানিযোগ্য পণ্য পরিবহনে অধিকতর সুবিধা আসছে পদ্মা সেতু চালু হওয়ার মধ্য দিয়ে। দ্রুততম সময়ে রেল যোগাযোগ চালু হলে বেনাপোল বন্দরের মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে, সেই সঙ্গে বাড়বে রাজস্ব। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় গত এক বছরে ব্যবসাবাণিজ্যের পরিধি বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। ট্রেনে যাত্রী পরিবহনের পাশাপাশি মালামাল বহনের জন্য ওয়াগন জুড়ে দিলে অল্প টাকায় কম সময়ে আমদানি মালামালের পাশাপাশি কৃষিনির্ভর যশোর অঞ্চলের বিভিন্ন ধরনের সবজি, ফুল, মাছ দ্রুততম সময়ে ঢাকায় পৌঁছানো সম্ভব হবে।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর