বুধবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

বিএনপি লড়াই করছে গণতন্ত্র ধ্বংস করার জন্য : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি লড়াই করছে গণতন্ত্র ধ্বংস করার জন্য : কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নাকি এখন গণতন্ত্র মুক্ত করার জন্য লড়াই করছে। আসলে লড়াই করছে গণতন্ত্র ধ্বংস করার জন্য। অতীতেও তারা গণতন্ত্র ধ্বংস করেছিল, প্রহসনের নির্বাচন করেছিল, ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার তৈরি করেছিল, ১৫ ফেব্রুয়ারির মাগুরা মার্কা নির্বাচন করেছিল। যারা গণতন্ত্র গলা টিপে মেরেছে, সেই দলের লজ্জা হওয়া উচিত। গতকাল বিকালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বিএনপির উদ্দেশে বলেন, দিনক্ষণ জানিয়ে ডাক দেওয়া আন্দোলন খাদের মধ্যেই পড়ে। আওয়ামী লীগ অশান্তি করবে না। তবে কেউ যদি অশান্তি করতে চায় তাহলে তাদের খবর আছে। ২৮ অক্টোবরের শান্তিসমাবেশে দলীয় নেতা-কর্মীদের কাছ থেকে সাগরের উত্তাল গর্জন শুনতে চান জানিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে মানুষের সেবা করার জন্য। আন্দোলন সংগ্রাম করেই আওয়ামী লীগ একাধারে ১৫ বছর ক্ষমতায়। অথচ খালেদা জিয়া একসময় বলেছিলেন আওয়ামী লীগ ১০০ বছরেও ক্ষমতায় আসতে পারবে না। বন্দুকের নল যাদের ক্ষমতার উৎস, তারা আমাদের ক্ষমতার ভয় দেখান!

ওবায়দুল কাদের বলেন, ৪০ দল নিয়ে নাকি বিএনপি ২৮ অক্টোবর মাঠে নামবে। তারা নাকি রাষ্ট্র মেরামত করবে। আরে মেরামত করেছেন তো শেখ হাসিনা, আর বিএনপি ধ্বংস করেছে। বিএনপি রাষ্ট্র মেরামত করবে, এটা শুনলে ঘোড়াও ডিম পাড়ে। বিএনপির নেতারা ঢাকায় আসতে শুরু করেছে। আত্মীয়স্বজনদের বাড়িতে উঠছে। বিএনপির রঙিন স্বপ্নের ফাঁপা বেলুন চুপসে যাবে। তিনি বলেন, এক বছর ধরে আমরা শান্তিসমাবেশ করেছি। এখান থেকে পল্টন বেশি দূরে নয়। আমাদের জায়গায় যদি বিএনপি ক্ষমতায় থাকত তাহলে আমাদের অস্তিত্ব নিয়ে কোথাও দাঁড়াবার কথা ছিল না। আমরা অশান্তি চাইলে বিএনপি নয়াপল্টনে এতগুলো সমাবেশ করতে পারত না। ক্ষমতাসীন দল হয়ে দলের কর্মীরা ধৈর্যের পরীক্ষা দিচ্ছে। আওয়ামী লীগের মনে অনেক বেদনা আছে। কারণ বঙ্গবন্ধু হত্যার মাস্টারমাইন্ড জিয়াউর রহমান। তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়ার ছেলে মারা যাওয়ার সময় শেখ হাসিনা শোক জানাতে গিয়েছিলেন, কিন্তু তিনি কর্ণপাত করেননি। একুশে নভেম্বর শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল। সেই দলের সঙ্গে কীভাবে সমঝোতা করি? আওয়ামী লীগের আমলে কি বিএনপির কোনো নেতাকে হত্যাকান্ডের শিকার হতে হয়েছে?

ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফির সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস প্রমুখ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর