বুধবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

অনলাইন জুয়ায় মুদ্রা পাচার র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার ৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

চলমান ক্রিকেট বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ থেকে ৫০ লাখ টাকা পাচারকারী একটি অনলাইন জুয়ার চক্রকে শনাক্ত ও গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। অনলাইন জুয়ার এসব টাকা হুন্ডির মাধ্যমে তারা ভারতে পাচার করছিল। ফুটবল বিশ্বকাপ, ক্রিকেট বিশ্বকাপ, আইপিএল, বিপিএল, বিভিন্ন ফুটবল লিগ-টুর্নামেন্টসহ জনপ্রিয় খেলাকে কেন্দ্র করে এই অনলাইন জুয়ার কার্যক্রম চালাত চক্রটি। তাদের টার্গেট ছিল দেশের তরুণরা। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যেও রয়েছে, একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসহ অপর তিন তরুণ। গতকাল কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান, র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন। তিনি বলেন, গত দেড় বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে এ চক্রটি বিভিন্ন অনলাইন জুয়ার সাইটের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। গত সোমবার গাজীপুরের শ্রীপুর ও ঢাকার মালিবাগ থেকে এ চক্রের যে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছে চক্রের অন্যতম মূল হোতা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী নিশাত মুন্না (২০), তার সহযোগী কামরুল ইসলাম শুভ (২৭), মো. সুমন (৩৫) ও নাজমুল হোসেন বাবু (৩১)। তাদের কাছ থেকে ১৬টি মোবাইল ফোন, ১৮টি সিম কার্ড, একটি সিপিইউ, একটি মনিটর উদ্ধার করা হয়। তিনি জানান, দেশের বাইরে থেকে পরিচালিত এসব জুয়ার সাইটের কার্যক্রম এদেশে তদারকি করতেন চক্রের অন্যতম মূলহোতা নিশাত মুন্নার নেতৃত্বে চক্রের ৭-৮ জন সদস্য দেশের বিভিন্ন এলাকায় সক্রিয় রয়েছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

র‌্যাবের মুখপাত্র আরও বলেন, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বা বিটিআরসি কর্তৃক অনলাইন জুয়া বা বাজি সংক্রান্ত বিভিন্ন অ্যাপ এবং ওয়েবসাইটের আগে বন্ধ করা হলেও তারা ডোমেইন পরিবর্তন করে পুনরায় অনলাইন প্ল্যাটফরমগুলোতে জুয়া চালু করেন। তারা নামে-বেনামে একাধিক সিম সংগ্রহ করে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছ থেকে অনলাইন জুয়ার অর্থ সংগ্রহ করতেন। এরপর প্রাপ্ত অর্থ থেকে নিজেদের লভ্যাংশ রেখে অবশিষ্ট টাকা তারা হুন্ডির মাধ্যমে পার্শ্ববর্তী দেশে অনলাইন জুয়ার প্ল্যাটফরম পরিচালনাকারীর কাছে পাঠাতেন। তারা এ পর্যন্ত অর্ধ কোটি টাকার অধিক অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। তিনি আরও জানান, চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করে কনটেন্টের সঙ্গে জুয়ার সাইটের বিজ্ঞাপন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন গ্রুপে বেটিং সাইটের বিজ্ঞাপন, সরাসরি মানুষের কাছে বলার মাধ্যমে এই জুয়ার সাইটের প্রচারের কার্যক্রম পরিচালনা করতেন জানিয়ে তিনি বলেন, পরে বিজ্ঞাপন দেখে আগ্রহী ব্যক্তিরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে অ্যাকাউন্ট খুলতেন। কোনো নতুন গ্রাহক তাদের মাধ্যমে বেটিং সাইটে অ্যাকাউন্ট খুললে তারা কমিশন পেতেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর