শুক্রবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

মহাসড়কে নসিমন-করিমনের রাজত্ব

অবৈধ যানবাহনে বিশৃঙ্খলা, সমন্বয়হীনতায় ভোগান্তি চরমে খুলনায়

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

মহাসড়কে নসিমন-করিমনের রাজত্ব

খুলনায় সড়ক-মহাসড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অবৈধ যানবাহন নসিমন, করিমন ও ইট, বালুবাহী ট্রলি। জমিতে চাষাবাদে ব্যবহৃত ট্রাক্টর ইঞ্জিনের সঙ্গে বাড়তি স্টিলের লরি (খোলা বাক্সের মতো) যুক্ত করে বানানো হয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ পণ্য পরিবহন যান। গতি নিয়ন্ত্রণ না থাকায় যেখানে সেখানে দুর্ঘটনায় পড়ছে এসব যানবাহন। এমনকি খুলনা মহানগরীতে দিনের বেলায় ব্যস্ততম সড়কেও এদের অবাধ চলাচল চোখে পড়ে।

সরেজমিন দেখা যায়, সড়ক-মহাসড়কে চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ট্রাফিক পুলিশকে ম্যানেজ করেই বিকট শব্দে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এই যন্ত্রদানব। নগরীর গল্লামারী, ময়লাপোতা, সোনাডাঙ্গা মজিদ সরনী, বয়রা বাজার, শিরোমনি, ফুলতলা, ডুমুরিয়া এলাকায় সড়কে অবৈধ নসিমস-করিমন, ইটবাহী ট্রলি চলাচল করলেও পুলিশ নির্বিকার। অদক্ষ চালক ও বেপরোয়া গতিতে অহরহ দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যাও বাড়ছে। সর্বশেষ ২১ অক্টোবর খুলনার পাইকগাছায় মামার বিয়েতে বেড়াতে এসে অবৈধ যানবাহনের চাকায় পিষ্ট হয়ে সামিম ইসলাম (৬) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়। সে ডুমুরিয়ার নরনিয়া গ্রামের মোহাম্মদ ইসলামের ছেলে।

নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)’র তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে খুলনা বিভাগে ১০ জেলায় সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে ১৭৩টি। এসব দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ১৭৭ জন। এর মধ্যে খুলনা জেলায় ২৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২০ জন নিহত হয়। ভুক্তভোগীরা জানায়, খুলনার রূপসা, তেরখাদা ডুমুরিয়া উপজেলায় দুর্ঘটনার অধিকাংশ ঘটেছে এসব অবৈধ যানবাহনের কারণে। বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ-উজ্জামান বলেন, অবৈধ যান চলাচলের কারণে আতঙ্কগ্রস্ত থাকতে হচ্ছে নগরের বাসিন্দাদেরও। নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) খুলনা নগর সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মুন্না বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ট্রাফিক পুলিশকে ম্যানেজ করেই বিকট শব্দে সড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে যন্ত্রদানব নসিমন করিমন ভটভটি। তবে মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক বলেন, সড়কে নিয়ন্ত্রণ ফেরাতে অবৈধ যান চলাচলে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইজিবাইকে বারকোড চালু করার জন্য সিটি করপোরেশনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।

অপরদিকে খুলনায় সড়ক দুর্ঘটনারোধে শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে মহানগরের ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সমাবেশ ও মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর