বিএনপির ডাকা মহাসমাবেশ ও হরতালে গত দুই দিনে রাজধানীসহ সারা দেশে ১২ বাসে আগুন দিয়েছে বিএনপি কর্মীরা। একই সঙ্গে প্রায় ১০০ বাস ভাঙচুর করা হয়েছে। গতকাল ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান এমপি। এ সময় শাজাহান খান বলেন, মালিকদের গাড়ি পুড়িয়ে ও শ্রমিকদের রক্ত ঝরিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি তৈরি করার সুযোগ বিএনপিকে দেওয়া হবে না। ২০১৩-১৪ সালে ৫ হাজার পরিবহনে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে এবং ৫০০ শ্রমিককে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। এখনো সে পথে হাঁটছে বিএনপি। তাদের এমন সন্ত্রাসী কর্মকা  বরদাস্ত করবে না মালিকরা। তারা একবার মাঠে নামলে আন্দোলনকারীরা রেহাই পাবে না। বিএনপির এমন কর্মকান্ডে  তীব্র নিন্দা জানান তিনি। এনায়েত উল্লাহ বলেন, সকালে ডেমরায় অছিম পরিবহনের একটি বাসে আগুন দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। সে বাসে হেলপার ঘুমানো ছিল। তাকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হলো। আমরা এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। একই সঙ্গে বাসে অগ্নিকা  ও ভাঙচুরের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়।  তিনি আরও বলেন, গতকালকে স্বাভাবিকভাবে গাড়ি চলাচল করেছে। যেহেতু মতিঝিল গুলিস্তান এলাকায় সমাবেশ ছিল তাই এই এলাকায় গাড়ি আসতে পারেনি। আমাদের আজকের কথা ছিল এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সঙ্গে আমরা একমত না, আমরা গাড়ি চালাব। সে জন্য মালিকরা সকাল থেকে গাড়ি বের করেছে। যাত্রী না থাকার ফলে গাড়ির সংখ্যা কম ছিল। দূরপাল্লার গাড়িও বের হয়েছে, শহরের গাড়িও বের হয়েছিল। কিছু গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে, স্টাফ হত্যা করা হয়েছে। ফলে একটু তো ভয় কাজ করে। শুধু আজকে না বিএনপি সব সময় এ ধরনের কাজ করে আসছে। আমরা ভবিষ্যতেও এ ধরনের কর্মসূচিতে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখব ইনশাল্লাহ। সম্মেলনে মালিক সমিতির ও শ্রমিক সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।