বুধবার, ১ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

তিন বছরে ৩৩ হাজার মামলা

বগুড়ায় অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান

আবদুর রহমান টুলু, বগুড়া

বগুড়ায় অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে তিন বছরে ৩৩ হাজার ৭টি মামলায় জরিমানা করা হয়েছে ১৩ কোটি ৩০ লাখ ১৬ হাজার ১৪৫ টাকা। এর মধ্যে চলতি বছরে মামলা ও জরিমানার পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ট্রাফিক বিভাগ অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ১১ হাজার ৮৪৮টি। জরিমানা আদায় করা হয়েছে ৪ কোটি ৯৬ লাখ ১৮ হাজার ৭১০ টাকা। ২০২১-২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বগুড়ায় অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে ২১ হাজার ১৫৯টি মামলা করা হয়েছে। গত দুই বছরে জরিমানা আদায় করা হয়েছে ৮ কোটি ৩৩ লাখ ৯৭ হাজার ৪৩৫ টাকা। বগুড়া ট্রাফিক পুলিশ ফাঁড়ি সূত্রে জানা যায়, শহরে অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান, বিশেষ করে হেলমেট বিহীন মোটরসাইকেলচালক, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও নম্বরবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা ও জরিমানা আদায় করা হয়। শহরের যানজট নিরসনে অবৈধ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, ইজিবাইক, থ্রি-হুইলারের বিরুদ্ধেও অভিযান ও জরিমানা করা হয়ে থাকে। এ ছাড়া মহাসড়কগুলোতে নসিমন-করিমন ও লাইসেন্সবিহীন সিএনজির বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে জরিমানা আদায় করা হয়। চলতি বছরে জেলায় আরও ৭৬টি মামলার মধ্যে ২৫টি মামলা তদন্ত করছে জেলা পুলিশ। এর মধ্যে ৫১টি মামলা তদন্ত করছে হাইওয়ে পুলিশ। ৩৪ জন নিহত এবং ১৪ জন আহত হওয়ার ঘটনায় আরও ২৫টি মামলা হয়েছে। বগুড়া ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ মাহবুবুল ইসলাম খান জানান, যানজট নিরসনে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ট্রাফিক বিভাগ অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ১১,৮৪৮টি।

 জরিমানা আদায় করা হয়েছে ৪ কোটি ৯৬ লাখ ১৮ হাজার ৭১০ টাকা। এ ছাড়া ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে ১০ হাজার ৫৬৬টি মামলা হয়েছে। জরিমানা আদায় করা হয়েছে ৪ কোটি ৩৪ লাখ ৭৮ হাজার ৬২৫টাকা। ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ১০ হাজার ৫৯৩টি। জরিমানা আদায় করা হয়েছে ৩ কোটি ৯৯ লাখ ১৮ হাজার ৮১০ টাকা। জরিমানার সব টাকা সরকারি কোষাগারে জমা করা হয়েছে।

জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) সুমন রঞ্জন সরকার জানান, শহরে দিন দিন অতিমাত্রায় হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল, অবৈধ থ্রি-হুইলার, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, লাইসেন্সবিহীন সিএনজি বেড়ে যাচ্ছে। মামলা দিয়েও তা থামানো যাচ্ছে না। এ বিষয়ে সব শ্রেণি পেশার মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন। বগুড়াবাসী সচেতন হলে শহরে যানজট কমবে এবং সড়ক দুর্ঘটনাও কমে আসবে। এতে মানুষ অনাকাক্সিক্ষত মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে যাবে।

সর্বশেষ খবর