বুধবার, ১ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

সাড়ে ৫৫ কেজি সোনা গেল কোথায়

সংসদে বিরোধী এমপিদের প্রশ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক

সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) বিল, কাস্টমস বিল-২০২৩ এবং জেলা (পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলাগুলোয় বলবৎকরণ) বিল সংসদে পাস হয়েছে। তবে ‘কাস্টমস বিল-২০২৩’ পাসের সময় প্রবল বিরোধিতা করেছেন জাতীয় পার্টিসহ বিরোধী দলগুলোর এমপিরা। একই সঙ্গে কাস্টমস লকার থেকে সাড়ে ৫৫ কেজি সোনা গেল কোথায়- এমন প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদে গতকাল বিল তিনটি পাস হয়। এর আগে বিলগুলোর ওপর বিরোধীদের জনমত যাচাই, আরও পরীক্ষানিরীক্ষার জন্য সংসদীয় কমিটিতে ফেরত পাঠানো এবং সংশোধনগুলো স্পিকার ভোটে নিষ্পত্তি করেন।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের অনুপস্থিতিতে ‘কাস্টমস বিল-২০২৩’ বিল উত্থাপন করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এ বিলটি পাসের সময় প্রবল বিরোধিতা করেন জাতীয় পার্টিসহ বিরোধী এমপিরা। বিলটির ওপর বক্তব্যে গণফোরামের মোকাব্বির খান বলেন, কাস্টমস এখন একটি দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। গত আগস্টে কাস্টমসের লকার থেকে সাড়ে ৫৫ কেজি সোনা লোপাট হয়। পরে তারা এক-দেড় শ ভরি সোনা কিনে চুরি করে ঢোকায়। এসব সোনা গেল কোথায়, কারা চুরি করল? তিনি বলেন, এসব পত্রপত্রিকায় এসেছে। অথচ কারও কোনো শাস্তি বা বিচারই হলো না। তা ছাড়া বিভিন্ন কাস্টম হাউসে দালাল চক্রের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। তারা ওভারলোডিং, আন্ডারলোডিং করছে, দেশের অর্থ বিদেশে পাঠাতে সহায়তা করছে। সরকার কোনো প্রতিকার করছে না। বিচার করে না, সব দলীয়করণ হয়ে যাচ্ছে, কার বিচার কে করবে?

বিরোধীরা বলেন, এনবিআর রাজস্ব আহরণের মূল স্থান। সেখানে রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি। রাজস্ব আয়ের চেয়ে কোনো কোনো ক্ষেত্রে খরচ বেশি দেখানো হচ্ছে। কারও কোনো বিচার হয় না। অর্থের বিনিময়ে সব মিটমাট হয়ে যাচ্ছে, কাস্টমসের কর্মীরা অবৈধভাবে ধনী হচ্ছে।

বিরোধীরা সব ক্ষেত্রে অটোমেশনের দাবি জানান। পরে বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক; যা স্থিরীকৃত আকারে সংসদে পাস হয়। অন্যদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের অনুপস্থিতিতে সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) বিলটি উত্থাপন করেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

বিলটি পাসের বিরোধিতা করেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, ফখরুল ইমাম, পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ ও রওশন আরা মান্নান। তাঁদের জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। পরে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে কণ্ঠভোটে পাস হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর