বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

উৎসবের আমেজ খুলনায়

১১ নভেম্বর যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, উজ্জীবিত তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

উৎসবের আমেজ খুলনায়

প্রায় পাঁচ বছর পর ১১ নভেম্বর খুলনায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই দিন নগরীর সার্কিট হাউস ময়দানে ভাষণ দেবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে খুলনা। জানা যায়, এরই মধ্যে সার্কিট হাউস ময়দানে জনসভার মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। ব?্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে পুরো নগরী। বিভিন্ন স্থানে টানানো বিলবোর্ডে সরকারের সাফল্যসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডন্ডের তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। রূপসা নদী পারাপারে ফেরি-পন্টুন স্থাপন করা হয়েছে। জনসভা সফল করতে কেন্দ্রীয় নেতাদের আনাগোনা বাড়ছে খুলনায়। এতে উজ্জীবিত হচ্ছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকেও সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। মূল সড়কের পাশে অবৈধ স্থাপনা, চায়ের দোকান সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহর যেসব পথ দিয়ে যাবে সেই সড়ক মেরামত চলছে জোরেশোরে।

খুলনা নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক জানান, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ১১ নভেম্বর খুলনা সার্কিট হাউস মাঠে জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছেন। খুলনাসহ গোপালগঞ্জ, পিরোজপুর, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা থেকে নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ জনসভায় তাঁর বক্তৃতা শুনতে আসবেন। জনসভাস্থল জনসমুদ্রে পরিণত হবে। প্রধানমন্ত্রীর খুলনা সফরের সব কার্যক্রম তদারক করছেন বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল। তিনি এরই মধ্যে জনসভা সফল করতে খুলনা ও আশপাশ জেলার আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করেছেন।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এ জনসভা হবে স্মরণকালের ঐতিহাসিক সেরা জনসভা। তিনি নির্বাচনকেন্দ্রিক নির্দেশনা দেবেন। প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরবেন এবং আগামী নির্বাচনে নৌকার পক্ষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানাবেন। এস এম কামাল আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে সাংগঠনিক তৎপরতা বেড়েছে, এতে নেতা-কর্মীরা উজ্জীবিত হয়েছেন। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে সাধারণ মানুষের মধ্যেও নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে। খুলনার উন্নয়নে নানা দাবিদাওয়া সামনে আনছেন উন্নয়নকর্মীরা।

বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ-উজ্জামান বলেন, অর্থনৈতিক জোন, বিমানবন্দর, পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ, বন্ধ কলকারখানা চালুসহ অবকাঠামো উন্নয়নের আশায় বুক বাঁধছে দক্ষিণ-পশ্চিমের মানুষ। উল্লেখ্য, এর আগে ব্যক্তিগত সফরে চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি খুলনা আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দিঘলিয়ার নগরঘাট এলাকায় তাঁর মা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের নামে কেনা পাট গোডাউন পরিদর্শন করেন। এর আগে ২০১৮ সালের ৩ মার্চ সাংগঠনিক জনসভায় যোগ দিতে খুলনায় আসেন প্রধানমন্ত্রী।

 

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর